‘আমার ভাই যদি ফুটওভার ব্রিজ (পদচারী–সেতু) ব্যবহার করত, তাহলে এমন ঘটনা ঘটত না। বাসের চালকেরাও যদি একটু সচেতন হতো, তবে হয়তো আমার ভাইকে মরতে হতো না। আইল্যান্ড (সড়ক বিভাজক) টপকে পার হওয়া যায়, ওটা তো সে অন্যদের দেখেই শিখেছে। সবাই সহজে এভাবে সড়ক পার হয়, তাই সেও পার হতে চেয়েছিল।’
ছোট ভাই পিয়াস খানকে (২৮) হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন আজিজা সুলতানা। গতকাল সোমবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বিপণিবিতান রাজ্জাক প্লাজার সামনে সড়ক বিভাজক টপকে রাস্তা পারাপারের সময় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান পিয়াস খান।
তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন পিয়াস খান। ছোটবেলায় মা–বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে বড় বোন আজিজা সুলতানার কাছেই বড় হন তিনি। দুলাভাই নজরুল ইসলাম সন্তানের মতো করে যত্ন নিতেন পিয়াসের। পিয়াসের রাজ্জাক প্লাজার কাপড়ের দোকানটিও তাঁদের আর্থিক সহযোগিতায় করা
আজ মঙ্গলবার সকালে সাভারের পশ্চিম রাজাশন ডেল্টার মোড় এলাকায় আজিজা সুলতানার বাসায় গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের অনেকে বাসার বসার কক্ষে (ড্রইংরুমে) মলিনমুখে বসে আছেন। পাশের একটি কক্ষে ছিলেন আজিজা সুলতানা ও তাঁর স্বামী মো. নজরুল ইসলাম। একটু পর দুজনে চলে আসেন বসার কক্ষে। পিয়াস খানের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের নানা বিষয়ের স্মৃতিচারণা করতে থাকেন দুজনে। গতকালের ঘটনায় বাসের চালকদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই তাঁদের। তাঁরা চান, এভাবে যেন আর কারও সন্তান, ভাই, বোন ও স্বজনকে হারাতে না হয়। সড়কে আইন মানার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের যথাযথ তদারকি চান তাঁরা