তামিমের জায়গায় কে

tamiiim-20230804173942.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক :-  নতুন অধিনায়কের পাশাপাশি খুঁজতে হবে নতুন ওপেনারও
আলোচনায় নাঈম শেখ, তানজীদ হাসান, রনি তালুকদার ও সৌম্য
গত মাসের শুরুতেই নাটকের শুরু। সেই নাটকের শুরুটা হয়েছিল তামিম ইকবালের নিজ শহর চট্টগ্রামে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন সময়ে হঠাৎই অবসেরর ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। পরদিনই তামিমকে ডেকে পাঠান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ ফেলতে পারেননি দেশসেরা এই ওপেনার। অবসর তুলে নেন তিনি। দলে ফিরবেন, খেলবেন; তবে তার জন্য সময় প্রয়োজন। তার চিকিৎসা এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য তামিমকে ছুটি দেয়া হয় দেড় মাসের। সেখানেই নাটকের শেষ; সবাই হয়তো এমনটিই ভেবেছিল।

তবে বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার একটি কথা মনে পড়ে যায়। ২০১৯ সালে সাকিবকে যখন দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়; তখন মাশরাফি একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। ২০১৯ সালে ফেসবুক পোস্টে তখন সাকিবকে নিয়ে মাশরাফি লিখেছিলেন, দীর্ঘ ১৩ বছরের সহযোদ্ধার আজকের ঘটনায় নিশ্চিতভাবেই কিছু বিনিদ্র রাত কাটবে আমার। তবে কিছু দিন পর এটি ভেবেও শান্তিতে ঘুমাতে পারব যে, তার নেতৃত্বেই ২০২৩ সালে আমরা বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। কারণ নামটি তো সাকিব আল হাসান। তবে বোর্ড প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি বলেছেন, তামিম না থাকলে অধিনায়ক লিটন। তবে গুঞ্জন রয়েছে, সাবিকই হয়তো বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন।

বৃহস্পতিবার রাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিসিবি বস। ওয়ানডে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তামিম ইকবাল। একই দিনে গতকাল ক্রিকেট অপরারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, কোমরের চোটের কারণে আসন্ন এশিয়া কাপে খেলতে পারবেন না তামিম। যে কারণে নতুন অধিনায়ক খোঁজার পাশাপাশি বিসিবিকে খুঁজতে হবে নতুন ওপেনারও। লিটন দাস থাকছেন এক প্রান্তে এটি নিশ্চিত। তবে অন্য প্রান্তে কে থাকবেন বা ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে কে থাকবেন এই দুই স্পট নিয়ে এখন দোলাচল শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে। যদিও ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে নাঈম শেখের থাকার গুঞ্জন রয়েছে। তবে নতুন করে আলোচনায় আছেন ইমার্জিং এশিয়া কাপ খেলে আসা তরুণ ওপেনার তানজীদ হাসান তামিমও। ইমার্জিং এশিয়া কাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তানজীদ হাসান তামিম। ব্যাট হাতে ইনিংস ওপেন করতে নেমে চার ম্যাচে করেছেন ১৭৯ রান। এমন ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ের পর জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ছেন এই তরুণ ওপেনার। তানজীদ হাসান তামিমের এমন পারফরম্যান্সে অবশ্য কিছুটা পেছনেই পড়েছেন রনি তালুকদার।

সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের এক ম্যাচ খেলে রান পাননি ডানহাতি এই ব্যাটার। এর আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চেমসফোর্ডে অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচেও ব্যর্থ হন রনি, করেছিলেন মোটে চার রান। তবে সর্বশেষ বিপিএলে ফর্মের কারণে তার ওপর কিছুটা আস্থা আছে ক্রিকেট বোর্ডের। লিস্ট এ ক্রিকেটে ২৬ দশমিক ৩২ গড় আর ৭৮ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন ৩২ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। তামিমের বিকল্প হিসেবে সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেই ডাক এসেছিল নাঈম শেখের। মাত্র দুই ওয়ানডে খেলা নাঈমেরও ঘরোয়া ক্রিকেটে আছে বড় রান করার কীর্তি। ৫০ এর কাছাকাছি গড় আর ৮৭ এর ওপর স্ট্রাইকরেট থাকায় ২৩ বছর বয়সি এই ক্রিকেটারের মাঝেও সম্ভাবনা দেখছেন অনেকেই। তাকে নিয়েই পরিকল্পনা আছে বিসিবির। তানজীদ তামিম, রনি তালুকদার কিংবা নাইম শেখ ছাড়াও বিবেচনায় আছেন সৌম্য সরকার।

বর্তমান হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রিয় শিষ্যদের একজন সৌম্য। কদিন ধরেই জাতীয় দলের রাডারে আছেন তিনি। খেলেছিলেন ইমার্জিং কাপেও। যদিও তেমন ছন্দে নেই এই ক্রিকেটার। তবে বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা এগিয়ে রাখতে পারে তাকে। উপরের তিনজনের থেকে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবেন সৌম্য সরকার। জাতীয় দলের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সৌম্য সরকারের। লাল-সবুজের জার্সিতে ওপেনিং করেছেন ৩৭ ইনিংস। ৩৪ গড় ও ১০০ স্ট্রাইকরেটে মোট রান তুলেছেন ১১৫৬। সেই দিক থেকে সবার থেকে বেশ এগিয়ে রয়েছেন সৌম্য সরকার।

Share this post

PinIt
scroll to top