দেশের তথ্য ডেস্ক শেরপুর প্রতিনিধি :- পরিত্যক্ত দুটি বিল্ডিং ঘর। একটি ওয়াশ ব্লক। অন্যটি তিন কক্ষের ভবন। এ দুটি বিল্ডিং নির্মাণ হয় ২০১৯ সালে।
ভবন দুটির বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল। ধসে যাচ্ছে নিচের মাটি। খসে পড়ছে পলেস্তরা। ভবনের পাশে দর্শকদের বসার জন্য বেঞ্চগুলো পড়ে আছে উঁচু-নিচু পরিত্যক্ত মাঠে।
এসব দেখে মনে হবে যেন বখাটেদের আড্ডাস্থল। কিন্তু না, এ স্থানটি দেড় যুগ আগে শেরপুরের শ্রীবরদী শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য নেওয়া হয়। সামান্য কিছু ভূমি অধিগ্রহণ আর মাটি ভরাটের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি। মাঠ না থাকায় খেলাধূলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশু কিশোররা।
সম্প্রতি সরেজমিন গেলে অনেকের সাথে কথা বললে প্রশ্ন ওঠে, কবে হবে শ্রীবরদীর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম?
জানা যায়, শ্রীবরদী পৌরসভার পোড়াগড় ব্রিজের পাশে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের জন্য ২০০৯ সালের ৮ নভেম্বর এক একর ৪৮ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়। এর পাশে এক একর ৩০ শতাংশ খাস জমি ও এক একর ৩৫ শতাংশ জমি মালিকানা। মালিকানা জমিটুকু অধিগ্রহণ আর মাঠে মাটি ভরাট হলেই খেলাধুলার উপযোগী হবে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের মাঠ। এতে খেলার সুযোগ পাবে শিশুরা। শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে শিশুদের।
স্থানীয়রা জানান, খেলাধূলার সুযোগ না পেয়ে ডিজিটাল ডিভাইসমুখী হয়ে উঠেছে শিশু-কিশোররা। অনেকে আসক্ত হচ্ছে মাদকের। ক্রীড়া অঙ্গণে ক্রমেই বাড়ছে খেলোয়াড় শূন্যতা।
এ ব্যাপারে কথা হয় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের পাশে ব্যক্তি মালিকা জমির মালিকদের সাথে। তারা জানান, সরকার খেলার মাঠের জন্য এই জমি ক্রয় করলে তারা বিক্রি করবেন।
শ্রীবরদী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহীন জানান, ২০১৯ সালে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন ও একটি ওয়াশব্লক নির্মাণ হয়েছে। রক্ষাণাবেক্ষণ আর ব্যবহার না করায় নষ্ট হচ্ছে ভবনের সৌন্দর্য্য। সম্প্রতি ভবনের বিভিন্ন যায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল। ধসে যাচ্ছে ভবনের নিচের মাটি। খসে পড়ছে পলেস্তার।
তিনি বলেন, শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র স্টেডিয়ামের মাঠে মাটি ভরাটের উদ্যোগ নিয়েছেন।
শ্রীবরদী হাসপাতালের আরএমও ডা. অমিও জ্যোতি বলেন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটাতে খেলাধূলার কোনো বিকল্প নেই। যে শিশু নিয়মিত খেলাধুলা করে তার দ্রুত শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। যে শিশু খেলাধূলা না, সে মাদক বা অন্য দিকে ঝুঁকে পড়ে। এমনকি খেলাধূলা না করলে অল্প বয়সেই নানা রোগে আক্রান্ত হয়।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ আলী লাল বলেন, স্টেডিয়ামের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য পৌরসভা, প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজের বরাদ্দ থেকে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করতে চাই। তিনি আরো বলেন, মাঠে মাটি ভরাট হলেই খেলাধূলার সুযোগ পাবে শিশু-কিশোররা।
কাঙ্ক্ষিত এই মিনি স্টেডিয়াম চালু হলে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধূলা করতে পারবে শিশুরা। শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে শিশু কিশোরদের। এজন্য শেখ রাসেল স্টেডিয়ামটি দ্রুত চালুর দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।