বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে সপ্তাহব্যাপী মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। আগামী বুধবার থেকে জনসভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, জনসভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। সোমবার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপির রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বাসভবনে জোটের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বৈঠকে শেষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আগামী ২ আগস্ট থেকে আমরা (১৪ দল) মাঠে নামবো। সাতদিনের কর্মসূচি আছে। আজ কর্তৃপক্ষের কাছে দেবো। অনুমোদন সাপেক্ষে সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি চলবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করছি, বিএনপি সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছে। সাংবিধানিক ধারা ব্যাহত করে অন্য ধারা প্রবর্তন করতে চায় তারা। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যে শর্ত দিবে তা মানবো। কিন্তু সাংবিধানিক ধারা ব্যাহত করে সংবিধান পরিবর্তন করতে চাইলে সুযোগ দেবো না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন আমু বলেন, ‘যারা আলোচনায় বিশ্বাসই করে না। সরকার উৎখাতের কথা বলে। তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ? যারা রাজনৈতিক ধারা, সংবিধানের ধারায় বিশ্বাস করে না তাদের সঙ্গে কি কারণে বসব? সাংবিধানিক ধারা মোতাবেক দেশ যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সেইভাবে পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি চলছে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, জাতীয় পার্টি-জেপি’র যুগ্ম-মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি এড. এনামুল ইসলাম রুবেল, জেপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু, গণআজাদী লীগের সভাপতি এড. এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহŸায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাসদের আহŸায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুকসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা বিএনপি’র দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র রাজপথে রুখে দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, বিএনপি যেহেতু এক দফা দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে, তাই তাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, ‘বিএনপি’র এজেন্ডা হলো সরকার পতন, নির্বাচন নয়। তাই দেশের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখার জন্য ১৪ দলকে মাঠে নামতে হবে।’
জাতীয় পার্টি-জেপি’র যুগ্ম-মহাসচিব এড. এনামুল ইসলাম রুবেল বলেন, ‘শুধু বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে নয়, রাজধানীর প্রতিটি থানায় থানায় ১৪ দলের কর্মসূচি থাকতে হবে।’