কলকাতা প্রতিনিধিঃ সমরেশ রায় ও শম্পা দাস
আজ ৬ই নভেম্বর বুধবার, কুমারটুলি পাড়ায় মৃৎশিল্পীদের চলছে জগদ্ধাত্রী প্রতিমা তৈরী ও শেষ করার কাজ, কারণ রাত পোহালে কোথাও কোথাও কাল থেকে পুজো শুরু হয়ে যাবে তাই কিছু কিছু উদ্যোক্তা প্রতিমা নিতে এসেছেন এবং প্রতিমা নিয়ে যাচ্ছেন।
চন্দননগরে যেমন জগদ্ধাত্রী পুজো রীতি মেনে দুর্গা পূজার মতো পাঁচ দিন ধরে পূজো চলে, কলকাতাতেও কিছু কিছু জায়গায় একই রীতি মেনে পাঁচ দিন ধরে পুজো করেন। তাই উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিতে এসে ভিড় জমিয়েছেন কুমারটুলিতে।
মৃৎশিল্পীরা জানালেন, আজ আমাদের যেভাবেই হোক কয়েকটি ক্লাবকে প্রতিমা রেডি করে দিতে হবে। তাই আমরা ব্যস্ততার মধ্যে কাজ শেষ করা চেষ্টা করছি। কোথাও কোথাও চলছে প্রতিমায় মাটি দেওয়ার কাজ, আবার কোথাও কোথাও চলছে প্রতিমার রং করার কাজ, আবার কোথাও কোথাও চলছে শিল্পীদের প্রতিমার কাজ শেষ করার কাজ, কারণ রাতের মধ্যেই প্রতিমা গুলি নিয়ে যাবেন। শিল্পীরা জানালেন এবারে আরও কিছু পুজো বেড়েছে, এবং কিছু উদ্যোক্তা লাস্টের দিকে বায়না দেওয়ায় আমাদের কাজের চাপ আরো বেড়ে গেছে। শিল্পীরা জানালেন এবারে প্রতিমা শুধু কলকাতায় নয় ,বেশ কিছু গ্রাম অঞ্চলেও যাবে।। সর্বনিম্ন প্রতিমার দাম দশ হাজার থেকে শুরু করে উদ্যোক্তাদের অর্ডার মতো ৮০ হাজার ও এক লাখ টাকারও প্রতিমা তৈরি করেছেন।
কুমারটুলি পাড়ায় গিয়ে একটি পুজো উদ্যোক্তাদের হোটেলে পূজো হয় জানা গেল, নিউ টাউন এর বার্নাড হোটেলে, চিরা চরিত রীতি মেনে পূজো হয়ে আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে, শুধু তাই নয়, পুজোর উদ্যোক্তা ঋত্বিক বাবু জানালেন, আমরা হোটেলে শুধু পুজো করি না, গরীব অসহায় মানুষদের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের হাতে বস্ত্র তুলে দি এবং প্রায় হাজারেরও বেশি মানুষকে বসিয়ে খাওয়ানো হয়।
এলাকার মানুষেরা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা সকাল থেকেই আসেন মায়ের ভোগ খাওয়ার জন্য। আমরা আনন্দিত , আমাদের পুজো পাঁচ দিন ধরেই চলে, তাই আজ আমরা প্রতিমা নিতে এসেছি, এবং প্রতিবছরই আমাদের প্রতিমার শুভ সূচনা করেন এলাকার বিধায়ক, উপস্থিত থাকেন পৌর পিতা , পৌর মাতা সহ অন্যান্যরা। আমাদের প্রতিমা একই আদলে তৈরি হয়। এরকম বেশ কয়েকটি ক্লাব কেউ দেখা গেল প্রতিমা নিতে আসতে। উদ্যোক্তারা সকলকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানালেন। সবার সুস্থ কামনা করলেন।