কলকাতা প্রতিনিধিঃ সমরেশ রায় ও শম্পা দাস
আজ ১৭ ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার, ঠিক বিকেল তিনটায়, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার ফোরাম এর উদ্যোগে, দশ দফা দাবীর সমর্থনে, গণসাক্ষর সংগ্ৰহ কর্মসূচী করলেন,
তাহারা ধর্ণা মঞ্চের সামনে যেখানে ডাক্তারদের অনশন চলছে, সেখানেও তাহারা গনসাক্ষর কর্মসূচী করলেন, এছাড়াও তাদের তিনটি ম্যাটাডোর গণস্বাক্ষরে বেরোয়, একটি গরিয়াহাট ,একটি শ্যামবাজার ,আরেকটি উল্টোডাঙ্গা মোড়, ধর্ণা মঞ্চের সামনে যেখানে গণস্বাক্ষর চলছে প্রায় লাইন দিয়ে মানুষ এই স্বাক্ষর দিচ্ছেন।। তারাও যে বিচার চায় এ গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
যদি ওই গণস্বাক্ষর দুপুর দেড়টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এই গণস্বাক্ষর হতে দেয় না, এমনকি তারা যে পাঁচটি গাড়িতে গণ স্বাক্ষর কর্মসূচির মাইক বেঁধেছিলেন, সেই গুলিকেও বাতিল করতে বাধ্য করেন, প্রশাসনের তব থেকে জানানো হয় আপনাদের পারমিশন নাই।, কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা হাল ছাড়েননি, তাহারা সরাসরি প্রশাসনকে মেলের মাধ্যমে সমস্ত কিছু জানান, কোন পরে পুলিশের তরফ থেকেও বলা হয়, হিসাবে আপনারা গণ স্বাক্ষর করতে পারেন, কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা, আইন মেনে গণস্বাক্ষরী বের হলেন বিকেল তিনটেয়, হাঁ বলেন আমাদের এই উদ্যোগকে বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন প্রশাসন , কিন্তু পারেননি, শুধু একটা কথাই বলবো, যত আমাদের বাধা দেবেন, তত আমাদের আন্দোলন বাড়বে, সাধারণ মানুষ সারা দেবে,
আমাদের পাশে যে জনগণ আছে, প্রতিদিন প্রমাণ করে দিচ্ছেন, শুধু নিজেদের জন্য লড়ছি না, সাধারণ মানুষের জন্য লড়ছি ,সঠিক চিকিৎসার জন্য লড়ছি ,ন্যায়ের বিচার চাইছি। আমাদের অনশন শুধু আমাদের জন্য নয় সারা দেশের জন্য। আর যাতে এইরকম একটা বোনকে না হারাতে হয়, তাই সুবিচার চাই, আর যতদিন না সুবিচার পাবো এই অনশন ও আন্দোলন চলবে, আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী পুজোর জন্য টাকা খরচা করতে পারেন , কিন্তু গরীবদের জন্য টাকা বেরোয় না, চাকরিজীবীদের জন্য টাকা বেরোয় না ,কর্মকরত সিভিক পুলিশদের জন্য মাইনে বাড়ে না।। তাই সব কিছুর ন্যায়ের বিচার চাই।
আমাদের দাবিগুলি হল… অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কেন্দ্রীয় রেফারাল ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ডিজিটাল বেড ভ্যাকেন্সি মনিটর চালু করতে হবে।
হাসপাতাল গুলিতে ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্য পদ গুলি অবিলম্বে পূরণ করতে হবে।
অতি দ্রুত সবকটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব কলেজ ভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠন করে প্রয়োজন মাফিক সিসিটিভি ,অন কল, রুম, বাথরুম ,হেল্পলাইন নম্বর এবং প্যানিক বাটনের ব্যবস্থা করতে হবে।
হাসপাতাল গুলিতে পুলিশি সুরক্ষা বাড়াতে হবে, সিভিক ভলেন্টিয়ার নয় ,পুরুষ ও মহিলা পুলিশ কর্মী নিয়োগ করতে হবে।
অবিলম্বে রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন করতে হবে, সব কটি কলেজ আর ডি এ কে স্বীকৃতি দিতে হবে। কলেজ, হাসপাতাল পরিচালনার সব কমিটি তে ছাত্র-ছাত্রী ও জুনিয়র ডাক্তারদের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হবে।
ডব্লিউ বি এম সি ও ডব্লিউ বি এইচ আর বি এর অভ্যন্তরে যে ব্যাপক দুর্নীতি ও বিনিয়মের অভিযোগ আছে, তার সাপেক্ষে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
আজ এই সকল দাবীর ভিত্তিতেই তার গণস্বাক্ষরে বেরোলেন, জনগণের ধিক্কার ও জনধ্বনি ডাক্তারদের মনকে শক্ত করেছে।