রামপাল প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের রামপালের মুজিবনগর এলাকায় সন্ত্রাসীদের ঘের লুটপাট, জবরদখল ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ফয়লাহাট জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জামায়াত নেতা গিয়াস উদ্দিন মোল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার মুজিবনগর এলাকায় কুমারখালী মৌজায় ৭ জন কৃষক মিলে দীর্ঘদিন ধরে সমবায় ভিত্তিক ১২৬ বিঘা জমিতে মৎস্য চাষ করে আসছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বাঁশতলী বিএনপির সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ ও সেচ্ছাসেবক দলের শেখ আরিফের নেতৃত্বে দুটি ঘের লুট করে। ঘেরে থাকা পাহারাদারদের ভয়ভীতি ও মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। তাদের কবল থেকে ঘেরটি উদ্ধারের জন্যে রামপাল থানায় ৩ টি অভিযোগ করেন। থানার ওসি সোমেন দাশ তাদের ঘের থেকে নেমে যেতে বললেও তার ঘেরে থাকা মাছ লুট করে নিচ্ছে।
গিয়াস উদ্দিন ঘের মালিকদের কাছ থেকে ৩১-১২-২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ঘেরে থাকা মাছ কিনে নেন। গত ইং ২৫-০৯-২০২৪ তারিখ মুজিবনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ১০ টি মোটর সাইকেল রেখে গিয়াস ঘেরে যান। তখন ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ১০ টি গাড়ী ভাংচুর করে এবং এ পর্যন্ত ঘেরে থাকা মাছ লুট করে। এতে তার ২৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়।
এসব অভিযোগের বিষয়ে বিএনপি নেতা শেখ আব্দুল্লাহর কাছে তার মুৃঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ত্রিমুখি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সেনাবাহিনী এবং থানা পুলিশের সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। আমি কারো ঘেরে যাইনি। আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আবু সাইদ তার ভাগনেকে দিয়ে এমন মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ দিচ্ছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজই এ বিষয়ে বৈঠক করেছেন। আপনারা বিষয়টি জেনে দেখুন। ওখানে আমাকে ও আরিফকে অহেতুক জড়ানো হচ্ছে। তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
রামপাল থানার ওসি সোমেন দাস জানান, দুপুরে থানায় দুই পক্ষের বসাবসি হয়েছে। আগামী বুধবারের মধ্যে তারা উভয়পক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।