দেবহাটায় আইন-শৃঙ্খলা ও দুর্গা পূজা উৎযাপন কমিটির সভা

-1.jpg

দেবহাটা প্রতিনিধি:

দেবহাটা উপজেলার আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা ও দুর্গা পূজা উৎযাপন কমিটির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চলনায় ও সভাপতিত্ব বক্তব্য দেন দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইদ্রিসউজ্জামান, সরকারি কেজিএ কলেজের অধ্যক্ষ অলোক কুমার ব্যানার্জি, উপজেলা আহবায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মহিউদ্দীন মোল্যা, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা অলিউর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা এমদাদুল হক, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, রিপোর্টাস ক্লাবের সভাপতি আর. কে বাপ্পা, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, ইমাম সমিতির সভাপতি আব্দুল সত্তার, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি চন্দ্র কান্ত মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার ঘোষ, উত্তর পারুলিয়া দাশ পাড়া পূজা উৎযাপন কমিটির পক্ষে বাপ্পা দাশ প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, নওয়াপাড়া ইউপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন, সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেবহাটা সাব-জোনালের এজিএম জহুরুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশার, শিক্ষা অফিসার ইদ্রিস আলী, সমাজসেবা অফিসার অধীর কুমার গাইন, মহিলা বিষয়ক অফিসার নাসরিন জাহান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সঞ্জয় মন্ডল, বিআরডিবি কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার মন্ডল, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আসলতা খাতুন সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিজিবি প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট সদস্যরা।

এসময় বক্তরা বলেন, গত ৫ আগস্টের পর দেবহাটা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। এখানে সবাই সম্প্রীতি বজায় রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সহযোগীতা রেখেছেন। এছাড়া আসন্ন দুর্গা পূজা সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগীতা কামনা করে বিভিন্ন আলোচনা রাখা হয়। বিশেষ করে প্রতিটি মন্ডপে পর্যাপ্ত আলো, সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়। মন্ডপগুলোতে প্রতিমা দশনের জন্য যাওয়া ও আসারা আলাদা পথ রাখতে হবে। প্রধান সড়কগুলোতে যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। উপজেলার ২১টি মন্ডপ মনিটরিং করার জন্য একটি হটসঅ্যাপ গ্রæপ খোলা হবে। যেকোন সমস্যা গ্রæপে জানালেই সাথে সাথে সমাধান করা হবে। এমনকি আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয় কিংবা কোন ধরনের গুজব ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ালেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারী দেওয়া হয় সভায়। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সেনা বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, আনসার, গ্রাম পুলিশ সহ বিভিন্ন টিম থাকবে। নামাজ ও আজানের সময় মাইক ও বাদ্যযন্ত্র বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়। একই সাথে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে বিকল্প জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে বলেও জানানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের পক্ষ থেকে স্বেচ্ছাসেবক টিম দিয়ে পূজা উদযাপনে সার্বিক সহযোগীতা করবে জানানো হয় প্রস্তুতি সভায়।

Share this post

PinIt
scroll to top