জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারকে

20240924_161804-scaled.jpg

দেশের তথ্য ডেস্কঃ
খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচছা ও অভিনন্দন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতিতে আগমন করায় জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচছা জানানো হয়। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও আইনজীবী পরিচালনা পরিষদের সদস্য সচিব এডভোকেট শেখ নুরুল হাসান রুবা ও সদস্য এডভোকেট আওছাফুর রহমান তাকে এ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এ সময় সিনিয়র আইনজীবী লস্কর শাহ আলম, এডভোকেট সরদার ফিরোজ কবির, এডভোকেট জাকিরুল ইসলাম, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম লিটন, এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, এডভোকেট লিয়াকত আলী সরদার, এডভোকেট এসকেন্দার আলী, এডভোকেট হুসাইন কবির, এডভোকেট মনিরুল ইসলাম পান্না, এডভোকেট খান লিয়াকত আলী, এডভোকেট সরদার আলী নুর হোসেন, এডভোকেট জামাল উদ্দিন, এডভোকেট মঈনুল ইসলাম জীবন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ফুলেল শুভেচ্ছার জবাবে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার নবঘোষিত কমিটিকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ সময় আশা প্রকাশ করে বলেন, আইনজীবী নেতৃবৃন্দ দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন। আদালত প্রাঙ্গণে বিচারের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, সমাজের সবচেয়ে অসহায় মানুষরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালতে আসেন, আইনজীবীদের দ্বারস্থ হন। এই অসহায় মানুষগুলোকে আইনি সেবা প্রদানের যে নৈতিক দায়িত্ব আইনজীবীদের রয়েছে, সেই দায়িত্ব পালনে সবাইকে মানবিক হতে হবে। আইনজীবী হিসেবে সাফল্য কেবল মামলার জয়-পরাজয়ের নিক্তিতে মাপলেই চলবে না, বরং আদালতে আইনের ব্যাখ্যা প্রদানে কতটা মানবিকতা ও উদারতার পরিচয় দিচ্ছেন কিংবা মামলায় জয় লাভের তুলনায় ন্যায় প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে কি-না এই বিষয়গুলোই কিন্তু একজন সত্যিকারের আইনজীবী হিসেবে অন্যদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেবে। তিনি বলেন, একজন আইনজীবীর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব মক্কেলের গোপনীয়তা রক্ষা করা। উন্নত দেশ গুলোতে এই বিষয়টা যতটা গুরুত্বসহকারে দেখা হয়, আমরা ততটা গুরুত্ব প্রদান করি না। কিন্তু আমাদের এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে।#

(ছবি আছে)
ডুমুরিয়ার নাশকতার দুই মামলায়
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া
গোলাম পরওয়ারসহ ৪৯ জনকে খালাস
ডুমুরিয়া থানার নাশকতার দুই মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৪৯ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নীলা কর্মকার এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামী পক্ষের আইনজীবী মো. আবু ইউসুফ মোল্লা বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডুমুরিয়ার বামনদিয়ায় বোমা উদ্ধারের একটি নাটক সাজিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় মিজানুর রহমানসহ ১৮ জনের নামে এজাহার দাখিল করে। পরবর্তীতে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার অন্য একটি মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় এই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনের এই মামলায় ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর ৫০ জন আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করে। এর মধ্যে ডুমুরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা ইসহাক আলী মারা যাওয়ায় ৪৯ জন আসামী ছিল। একই এজাহার থেকে দু’টি চার্জশীট দাখিল করা হয়। একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে আর অপর মামলাটি ছিল বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে। দুই মামলাই একই আসামী ছিল।
তিনি বলেন, চার্জশীটে ৩০ জন সাক্ষী ছিল, সেখানে ১৯ জন সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়। কোন সাক্ষীই তার সাক্ষ্যতে সেক্রেটারি জেনারেলসহ কোন আসামীর নাম বলতে পারেনি, যে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল। যে বই উদ্ধার দেখানো হয়েছে, সেই বইয়ের কোনটাই বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ না। আজ সেই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে না পারায় জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ৪৯ জন আসামীকে খালাস প্রদান করেন আদালত।
খুলনা জজ কোর্টের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, নাশকতার গায়েবী মামলা, কোন রকম ঘটনা ঘটেনি। এমনকি কোন কিছুই হয়নি, শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশে পুলিশ থানায় বসে এই মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় বিচারের নামে প্রহসন চলেছে। আজ সেই মামলার রায় হয়েছে। রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার খালাস পেয়েছেন। এই রায়ে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি, আমরা সন্তুষ্ট।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আলহামদুলল্লিাহ। আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি, আমি সন্তুষ্ট। মিথ্যা মামলা। অন্যায়ভাবে দীর্ঘ ১৪ বছর সেই ২০১০ সালের মামলা। আজ ২৪ সাল। ১৪ বছর পরও এই মামলায় আমাকে হাজিরা দিতে হলো। এটা হলো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপকর্মের একটা ছোট প্রমাণ। আমি আরো একটি মামলায় হাজিরা দিতে আসবো। আশাকরি ওই মিথ্যা মামলা থেকেও আমি অব্যাহতি পাবো।

Share this post

PinIt
scroll to top