রিপোর্টার, শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা
আজ ৫ই সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার, রাধাকৃষ্ণানের জন্মদিন , এই দিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়।
মাননীয় রামকৃষ্ণ পালের উদ্যোগে, বরানগর পৌরসভার তৃণমূলের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যায়তন সরণীর সংযোগস্থলে পালিত হল শিক্ষক দিবস ও বৃক্ষ প্রদান ও একটি ব্যানারের শুভ সূচনা, ঠিক সকাল ১১ টায়।
একটি সুন্দর রবীন্দ্র সংগীতের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন এবং ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের নৃত্য সহযোগে এই অনুষ্ঠানকে আলোকিত করে তোলেন। অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন ডাক্তার রাসবিহারী ভট্টাচার্য মহাশয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে রাধাকৃষ্ণানের পতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন, এরপর সকল অতিথিদের উত্তরীয় ব্যাচ পরিয়ে এবং প্রত্যেককে একটি করে চারা গাছ দিয়ে সম্মানিত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সবার প্রিয় বিধায়িকা সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, উপস্থিত ছিলেন উদ্যোক্তা রামকৃষ্ণ পাল ও সরমা পাল, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বরানগর পৌরসভার পৌর পরিষদ অঞ্জন পাল, জয়ন্ত রায়, শ্রীমতি শম্পা চন্দ , সহ অন্যান্য কাউন্সিলর এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ও মহিলা সদস্যরা।
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও এই শিক্ষক দিবস পালন করলেন, একটি করে চারা গাছ প্রদান করলেন, শুধু তাই নয় তিনি কয়েকটি পদক্ষেপও নিয়েছেন, ডেঙ্গু নিধন, যাতে কোনোভাবে এলাকা বাসী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয়, তাহার যথাযথ ব্যবস্থা, এলাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, বিভিন্ন জলাশয় কে কিভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যায় তাহার ব্যবস্থা,
সারা দেশেই শিক্ষক দিবস পালিত হচ্ছে, স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে, প্রাইভেট টিউশন ও অন্যান্য ইনস্টিটিউট, যদিও কোন কারনে এবারে রাজ্য সরকার তরফ থেকে শিক্ষক দিবস পালিত হয়নি, কিন্তু এই ওয়ার্ডে সবাইকে নিয়ে শিক্ষক দিবস পালন করলেন।
সংক্ষিপ্ত কথার মধ্য দিয়ে উঠে আসে, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে শিক্ষা শুধু শিক্ষক মহাশয় শিক্ষিকা শুধু নয়, তাহার বাবা-মাও একজন কারিগর, যাহারা ছেলেমেয়েদের ছোট থেকে বড় করেছে, প্রথম আসার আলো দেখিয়েছে, যদি বাবা-মা প্রথম আলো না দেখা তো, কোন শিশুই স্কুলে পৌঁছাতে পারত না, একদিকে যেমন বাবা-মায়ের অবদান অন্যদিকে শিক্ষক শিক্ষিকার অবদান, তাই আজ ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে তাদের জীবিকা অর্জন করছে, কেউ পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তাই সবাই আমরা শিক্ষক, যে ভালো পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়ে পাস করে স্কুলে চাকরি করছে সেও পরবর্তীতে একজন শিক্ষক বা হচ্ছে শিক্ষিকা হচ্ছে, তাই বড় হতে গেলে সবাইকেই প্রয়োজন হয়, ভালো পড়াশোনা করছে তারা হয়তো ভালো কিছু করছে, যারা পড়াশোনায় অমনোযোগ দিচ্ছে, তারাও কিছু না কিছু করছে ও শিখছে, পরবর্তীতে তারাও একজন শিক্ষক কারণ, এই ছেলে বা মেয়েটি যদি একটি গাছ লাগাই, গাছটাকে বড় করার দায়িত্ব তার, কাজটা কিভাবে বড় হবে সেটা কিন্তু সেই ছেলে বা মেয়েটি তদারকি করছে, পরবর্তীতে সেও আরো পাঁচজনকে একইভাবে শিখিয়ে ওই বিষয়ের উপর বড় করবেন,
তাই একটি ক্যাপশনের মধ্য দিয়ে আমরা মানুষের কাছে তুলে ধরতে চাই, শিক্ষকই শিক্ষার আলো দেখায়, গাছ আমাদের প্রাণ বাঁচায়, আমাদেরকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে।
আপনার শিক্ষায় আপনার প্রাণ, জীবন বাঁচাতে গাছ লাগান।
গাছ যদি বাঁচে, কাজকে যদি যত্ন করে, কাজ একদিন বড় হবে এবং শাখা প্রশাখা ছড়াবে, এমনি একজন ভালো শিক্ষক যদি গড়ে ওঠে, অনেক ছাত্র তৈরি হবে।
এই অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে আমার তরফ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা