সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা
আজ ১৮ই আগস্ট রবিবার, ঠিক দুপুর একটাই ,জুনিয়র ডাক্তাররা সহ অন্যান্য ডাক্তার কলেজ স্কোয়ার মোড়ে জমায়েত হন, আর জি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ,, এবং সেখান থেকে মিছিল শ্যামবাজারের উদ্দেশ্যে পর্যন্ত আসে, যখন জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার থেকে নার্সরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ,আন্দোলন করছেন, অন্যান্য হসপিটালে জুনিয়র ডাক্তার নার্স ও সিনিয়ার ডাক্তাররা মিলিতভাবে আরজি করে বিক্ষোভ দেখাতে শামিল হচ্ছেন, এবং জুনিয়র ডাক্তাররা যখন স্লোগানে মাতোয়ারা আজ তার দিদির বিচারের জন্য , ,দোষীদের শাস্তি চাই , দোষীদের ফাঁসি চাই। আসল দোষীদের সবার সম্মুখে আনা চাই এবং যারা ১৪ তারিখের রাতে ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এই দাবী নিয়ে, যখন আজও কলেজ স্কোয়ার থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে আরজি করে জুনিয়র ডাক্তাররা শ্যামবাজার মরে আসেন, এবং আর জি করের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন।
তখন মাইকিং করে পুলিশ অফিসাররা ঘোষণা করেন, শ্যামবাজার মোড় থেকে বেলগাছিয়া মিল কলোনী পর্যন্ত উল্টোডাঙ্গা থানার অধীনে ,১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, সবার সুরক্ষার জন্য, এই জারী ১৮ই আগস্ট থেকে ২৪ শে আগস্ট পর্যন্ত থাকবে, কেউ এই আইন ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করবেন না এবং চারজনের বেশি কেউ জমায়েত হবেন না, এলাকাটি পুলিশ ও ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। এবং লাইন দিয়ে পুলিশ মোতায়ন করা হয়। হাতে কোন ভাবে বিক্ষোভের সৃষ্টি না হয়।
কিন্তু জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে যে সকল ডাক্তার আজকের মিছিলে সমবেত হয়েছিলেন, তাদের ধিক্কার কিন্তু থেমে নেই, তারা হাতে হাত ধরে শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় ঘেরে ফেলেন, এবং পুলিশদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন ভাবে আক্রমণ করেন, এমনটাও বলেন ১৪ তারিখের রাতে কোথায় ছিলেন লুকিয়ে, কেন আমাদের সহযোগিতা চেয়েছিলেন, আমরা যদি সেদিন আপনাদের না সহযোগিতা করতাম, তাহলে আপনারা কোথায় যেতেন,
আজ আমরা ন্যায়ের বিচার চাইছি, দিদির বিচার চাইছি, তাই আমরা কোন কিছুকে ভয় করি না ,যতদিন না দিদির সত্য উদঘাটন হবে, দোষীদের শাস্তি হবে এবং সবার সম্মুখে তাদের মুখোশ খুলবে ,ততদিন আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাব। আমাদের কেউ আটকাতে পারবেনা, সারা শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় হাতে হাত দিয়ে স্তব্ধ করে দেন গাড়ি ভাড়া ডাক্তাররা,
তাহারা আরো বলেন ,আমরা এই কাজ করতে বা মানুষের অসুবিধে করতে চাইনি। বাধ্য করিয়েছে আমাদের করাতে, আমাদের দিদিকে যারা কেড়ে নিয়েছে , তার সঠিক বিচারের জন্যই আমাদের এই আন্দোলন, আজ এক দিদিকে করেছে, কালকে আমাদের আরো কত দিদি বোনকে এরকম করবে তার প্রমাণ আমরা পাচ্ছি। এখনো পর্যন্ত যারা দোষীদের শাস্তি দিতে পারল না এবং সবার সম্মুখে তুলে ধরতে পারলো না, যারা আমাদের দিদিকে কষ্ট করে তিলে তিলে মেরেছে।
আর সরকার বলেছে, মেয়েদের বেশি রাতে ডিউটি করতে হবে না, কেন তার জবাব দিন, আপনি কেন নিরাপত্তা দিতে পারবেন না, আমরা মানুষের পরিষেবা দিতে চাই।, সরকার আমাদের সুরক্ষা দিতে না পারার জন্যই এই কথা বলছেন , কিন্তু আমরা নির্দেশ মানবো না, আমরা সবাই যেমন ডে নাইট কাজ করতাম তেমনি করব।
বেশ কিছুক্ষণ পাঁচ মাথার মোর অবরুদ্ধ করার পর দিদির উদ্দেশ্যে কিছু বক্তৃতা ও একটি সংগীত গেয়ে আজকের এই মিছিল শেষ করেন। শুধু তাই নয়, আজকের এই মিছিলে আগামীকালের একটি প্রস্তুতি তুলে ধরেন, যেহেতু কাল রাখী উৎসব , যে রাখীর মধ্যে লেখা থাকবে তার দিদির স্মৃতি। তাহারা আগামীকাল মেডিকেল কলেজের সামনে এই রাখী উৎসব পালন করবেন , সকলকে আসার আহ্বান জানান।