দেশের তথ্য ডেস্ক :- চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মেয়েদের তুলনায় ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম। কী কারণে ছেলেদের সংখ্যা কমে গেছে তা ভেবে দেখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছেলের সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে একটু ভেবে দেখা দরকার। পরীক্ষার্থী সংখ্যা কেন কমে গেল? এরা কি স্কুলে যাচ্ছে না? আমার মনে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তা ভালোভাবে দেখা দরকার।’
শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকালে গণভবনে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের ফলাফলের কপি গ্রহণের সময় তিনি এমন নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনের ২০ লাখ ৭৮ হাজার ২১৬ জন পরীক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৯৮০ জন, যা ৪৯.৩২ শতাংশ। ছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে ১০ লাখ ৫৩ হাজার ২৪৬ জন, যা ৫০.৬৮ শতাংশ। ছেলের সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে, একটু ভেবে দেখা দরকার। এরা কি স্কুলে যাচ্ছে না? পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কেন কমে গেল? আমার মনে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তা ভালোভাবে দেখা দরকার।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিনামূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছি। করোনার সময়ও সঠিক সময়ে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়েছে। কোভিড- ১৯ এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে সারাবিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি এবং প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, ইউরোপ-আমেরিকায়ও একই অবস্থা। তার মধ্যেও আমরা বিনামূল্যে শিক্ষার উপকরণ বই বিতরণ করেছি। এখানে আমরা কোনো কার্পণ্য করিনি। যেটা প্রয়োজন সেটা আমরা দিতে পেরেছি। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ডিজিটালি করা হয়েছে। এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এখন শিক্ষার্থীদের স্কুলে গিয়ে খবর নিতে হবে না, ঘরে বসেই ফলাফল পেয়ে যাচ্ছে।
পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘যারা কৃতকার্য হতে পারেনি তাদের বলব, হতাশ হওয়ার কিছু নেই। হতাশা মানুষকে আরও ক্ষতি করে। আগামীতে ভালোভাবে পাস করতে পার, সেভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। অভিভাবকদের বলব, ছেলে-মেয়েদের প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে। তাদের পড়াশোনার ব্যাপারে একটু বিশেষ নজর দেবেন। কারণ, সম্পদের মধ্যে একটাই হলো শিক্ষা, যেটা কেউ কখনও কেড়ে নিতে পারে না। জীবনে যেটা সবসময় প্রয়োজন।’