দেশের তথ্য ডেস্কঃ
নরসিংদীর রায়পুরায় ‘চট্টগ্রাম মেইল’ ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের বয়স ১৬ থেকে ২৫ বছর। নিহত ওই পাঁচজনের পরিচয় শনাক্তে জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে (ঢাকা জেলা) পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহত ওই পাঁচজনের মৃত্যুর কারণ খুঁজতে মেইল ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে জেলা ও রেলওয়ে পুলিশ। আশা করছি, তাদের পরিচয় শনাক্ত ও মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করতে পারব।
আজ সোমবার (৮ জুলাই) ভোর পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলা পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুরে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেনে কাটা পড়ে ওই পাঁচজন ব্যক্তি নিহত হন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনে কাটা পড়া পাঁচজন ব্যক্তির দ্বিখণ্ডিত মরদেহ দুটি রেললাইনের ওপর পড়ে আছে।
নিহতদের মধ্যে দুজন কিশোর ও তিনজন যুবক। তাদের পরনে প্যান্ট ও গেঞ্জি ছিল।
স্থানীয়রা জানান, সকাল ৭ টায় আপ ও ডাউন লাইলের মাঝে পরপর পাঁচটি বিকৃত লাশ দেখতে পান। তাদের ধারণা, নিহতরা মেইল ট্রেনের ছাদে বসে ঢাকা যাচ্ছিলেন।
সেখান থেকে পড়ে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায় তারা।
রেলওয়ের ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, পোশাক ও চেহারা বিশ্লেষণ করে ধারণা করছি, প্রান্তিক খেটে খাওয়া মানুষ ছিলেন ওই পাঁচ ব্যক্তি। পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর তাদের পেশা সর্ম্পকে জানা যাবে। তদন্ত চলছে। দুটি পৃথক ঘটনায় নিহত ছয়জনের লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
একই দিন বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার পৌর শহরের রেলগেইট এলাকায় ঢাকাগামী ‘কালনী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার আনুমানিক বয়স ৩০ বছর। এ নিয়ে দুটি পৃথক ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৬ জনে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাদশা বলেন, শ্রীরামপুর রেলগেইট এলাকার পূর্বপাশে ওই ব্যক্তি রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি তাকে ডেকে সতর্ক করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমার কথা তিনি শোনে না। ট্রেনটি তার কাছে এলে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তার ওপর দিয়ে ট্রেনটি চলে যায়। এতে তার দেহ থেকে হাত, পা ও মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চেহারা বিকৃত হওয়ায় স্থানীয় কেউ নিহত তাকে চিনতে পারেননি বলে জানান তিনি।
নিহত ওই ব্যক্তির শরীরের বিচ্ছিন্ন অংশ খুঁজে বের করে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন, নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক মো. শহিদুল্লাহ।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তি স্থানীয় কেউ হবে। পরিচয় শনাক্তে আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে।