দেশের তথ্য ডেস্কঃ
খুলনার ডুমুরিয়া শরাফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে তার স্ত্রী শায়লা ইরিন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে বিগত ইউপি নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ, সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনের একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এর মধ্যে জেলা ডিবি পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামি উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আজগর বিশ্বাস ওরফে তারা’কে আটক করেছে। আজ সোমবার সকালে ব্যক্তিগত অফিসকক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এখনই এ বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে রাজি হয়নি। এর আগে, রবিবার (০৭ জুলাই) রাতে হত্যার ঘটনায় ডুমুরিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আজগর বিশ্বাস ওরফে তারা বিশ্বাস।
নিহত চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামের স্ত্রী জানান, বিষয়টি পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স। নির্বাচনকালীন বিরোধীপক্ষ যারা ছিল তারাই আমার স্বামীকে হত্যা করতে পারে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ ও সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যারা প্রতিপক্ষ ছিল তারাই হত্যা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
জানা যায়, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শেষে খুলনার ভাড়াবাড়িতে ফেরার পথে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কে গুটুদিয়া এলাকায় রবিউল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। শরাফপুরে নিজের বাড়ি থাকলেও তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে খুলনা নিরালা আবাসিক এলাকার ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।