বিপৎসীমার ৩২ সে.মি ওপরে সুরমার পানি

image_100713_1719894268.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

ভারী বৃষ্টিপাতে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি উঠেছে। অপরদিকে পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) সুনামগঞ্জ সীমান্তের লাগোয়া ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এপারেও (সুনামগঞ্জে) হয়েছে ভারী বৃষ্টি। সীমান্তের ওপার থেকে পানি বেশি নেমেছে মেঘালয়ের ঘুমাঘাট ছড়া হয়ে তাহিরপুরের যাদুকাটা নদী দিয়ে। এ কারণে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলায়।

তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কের শক্তিয়ারখলা বাজারের পশ্চিম অংশের রাস্তাটি পাহাড়ি ঢলে যে কোনো সময় ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। এ ছাড়াও দোয়ারাবাজার উপজেলার দোয়ারাবাজার বোগলা বাজারের শরীফপুর গ্রামের পাশের সড়ক পানিতে তলিয়েছে। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। ফলে নৌকা দিয়ে চলাচল করছেন মানুষজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৩০০ মি.মি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঢলের পানি নেমেছে মেঘালয়ের ঘুমাঘাট ছড়া দিয়ে। এ কারণে যাদুকাটার পানি কূল উপচে বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুরকে প্লাবিত করেছে।

মেঘালয়ের ঘুমাঘাটের বেসিন ছোট হওয়ায় যাদুকাটা দিয়ে পানি নেমে বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে না বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। তবে আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ৪৮ ঘণ্টা সুনামগঞ্জে এভাবে বৃষ্টি হলে এবং উজানে অর্থাৎ চেরাপুঞ্জিতেও বৃষ্টি হলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা হতে পারে জানিয়ে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে আহ্বান জানান তিনি।

তাহিরপুরের বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন, ইউনিয়নের মাহমুদপুর-বারুঙ্কা সড়ক পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ভেঙে গেছে। একই অবস্থা বাদাঘাট-মাহতাবপুর সড়কের। আনোয়ারপুর ব্রিজের অ্যাপ্রোচ ও বিশ্বম্ভরপুরের শক্তিয়ারকলার ১০০ মিটার ডুবন্ত সড়কও ভেঙে গেছে। সকালে ঘুমাঘাট দিয়ে প্রবল বেগে পানি নেমে যাদুকাটায় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল। পরে আনোয়ারপুর বাজারের ওপর দিয়ে পানি গেছে।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছবাব মিয়া বলেন, যাদুকাটার পাড় উপচে প্রবল বেগে ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে সকালে পানি ঢুকেছে। ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকার মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছেন। মিয়ারচর জুনিয়র স্কুল, আমরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিশ্বম্ভরপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠেছে বন্যার্তরা।

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বললেন, উপজেলা পরিষদের অফিসসহ বিশ্বম্ভরপুরের সরকারি অন্যান্য অফিসেও পানি উঠেছে। যাদুকাটা নদী দিয়ে দ্রতই পানি এসে বন্যা কবলিত হয়েছে উপজেলা।

Share this post

PinIt
scroll to top