আকস্মিক বন্যায় ফেনীর দুই উপজেলায় আজকের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ভারি বর্ষণ ও ভারতের উজানের পানিতে বন্যার সৃষ্টি হওয়ায় ফুলগাজী ও পরশুরাম এলাকায় পরীক্ষা নেওয়া অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, গতকালের ভারি বর্ষণ ও উজানের পানিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। এতে দুই জেলায় পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই।
পরে বিষয়টি আমরা তিনবোর্ডকে (সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ও ভোকেশনাল) চিঠির মাধ্যমে অবগত করি। পরে তাদের নির্দেশনা মতে আজকের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।জানা গেছে, ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টা থেকে ফুলগাজী বাজারে পানি বাড়ায় ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে উত্তর দৌলতপুর ও দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছে।
এতে মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙনের শুরু হয়। সকাল পর্যন্ত মালিপাথর, নিলক্ষ্মী এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হবে। গতবছর এ ভাঙন স্থানের পাশে বাঁধের আরেকটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছিল।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম বলেন, উজানের পানিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে ফুলগাজী বাজারে প্রায় দুই ফুটের বেশি ওঠে গেছে।
দৌলতপুর এলাকায় বেড়িবাঁধের তিনটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দৌলতপুর থেকে জগতপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে।