কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ১৮ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। গত শুক্রবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে দল বেধে তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া পৌর সদরে বাস থেকে নামে। এরপর একটি রেস্টুরেন্টে দলবদ্ধভাবে নাস্তা করার সময় তাদেরকে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এ সময় পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে তারা সবাই রোহিঙ্গা। ক্যাম্প থেকে পালিয়ে তারা চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। পরে তাদেরকে আটক করে পটিয়া থানা পুলিশ।আটককৃত রোহিঙ্গারা হলেন- জাহিদ (১৬), ইমাম মাহাদী (১৭), মো. জুবায়ের (১৪), মনজুর আলম (২০), মো. রাজু (১৪), মো. সিরাজ (১৭), মো. রিয়াদ (১৫), মো. নুর বশর (১৭), মো. সাদ (১৫), নূর মাহমুদ (১৭), মো. আনস (১৬), সৈয়দ আমিন (১৪), মো. নুর (১৪), আব্দুল কাদের (১৮), মো. ফয়সাল (১৮), হাসেম মোল্লা (১৬), জুবায়ের (২১)।
আটককৃতরা সবাই কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা চান সুমুনী স্কুল ক্যাম্পে থাকেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় পটিয়া থেকে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) তাদেরকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তারা সবাই দলবদ্ধভাবে পালিয়ে চট্টগ্রামের একটি কারখানায় কাজ করতে যাচ্ছিল।
রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে আসা ঠেকাতে পুলিশ কঠোর নজরদারি শুরু করেছে। অনেকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পের নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছেন। এসব ঠেকাতে আমরা সবসময় সতর্ক আছি।’
এদিকে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে প্রতিদিন বিভিন্নভাবে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা পালিয়ে যাচ্ছে। পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছে।
ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সড়কের বিভিন্নস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ১০টি চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে তারা পালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিছু সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হলেও বেশির ভাগ রোহিঙ্গা চলে যাচ্ছে নিরাপদ গন্তব্যে। হঠাৎ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দলবেধে রোহিঙ্গারা লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নাগরিক সমাজ।