দেশের তথ্য ডেস্কঃ
বিনোদনপ্রেমীদের জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় মাধ্যম ওটিটি। বিশ্বজুড়ে এখন ওটিটি মাধ্যমই দর্শকদের জন্য সবচেয়ে ভরসার জায়গা। আর ওটিটির দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় নাম নেটফ্লিক্স। বিশ্বজুড়ে একাধিক সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজ স্ট্রিমিং হয় এই প্ল্যাটফর্মে।
তবে অন্যান্য প্লাটফরমের মতো নেটফ্লিক্সও সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক প্লাটফরম হওয়ায় অনেকেই এর কন্টেন্ট দেখে উঠতে পারেন না।তবে এবার সেই সব কনটেন্ট দেখার জন্য আর আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে না।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, শিগগিরই ফ্রি স্ট্রিমিং পরিষেবা চালু করতে পারে নেটফ্লিক্স। ইউজার সংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে নেটফ্লিক্স।
তাদের প্ল্যাটফর্মে সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজের যে সম্ভার রয়েছে তা প্রত্যেক ইউজারদের জন্য উন্মুক্ত করতে চলেছে কোম্পানি। ওটিটির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এটি একটি মাস্টারস্ট্রোক হতে পারে নেটফ্লিক্সের পক্ষ থেকে।
এই মুহূর্তে আঞ্চলিক স্তরে এমন প্রচুর টিভি শো রয়েছে, যা বিনামূল্যে দর্শকদের জন্য সম্প্রচার করা হয়। সেই সব টিভি শো’কে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে নেটফ্লিক্স।
প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্রি সাবস্ক্রিপশন মডেল এশিয়া এবং ইউরোপের দেশগুলোতে চালু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। সেখানে অ্যাড নির্ভর ফ্রি সাবস্ক্রিপশন মডেল চালু করতে পারে কোম্পানি। ওটিটির মাঝে প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই পদক্ষেপ নেটফ্লিক্সের ভিউয়ারশিপ বাড়াতে সাহায্য করবে। আর ভিউয়ারশিপ বাড়লে তবেই বাড়বে নেটফ্লিক্সের আয়।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন অনুসারে, টেক মহলে নেটফ্লিক্সের ফ্রি মডেল চর্চা শুরু হলেও, এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায়নি কোম্পানি। তবে অনেকেই আশা করছেন, ভারতে যেহেতু নেটফ্লিক্সের একটি বড় ইউজার বেস রয়েছে তাই নতুন পরিষেবা ভারতীয়রাও পাবেন। বর্তমানে ভারতে নেটফ্লিক্সের প্রতিপক্ষ রয়েছে ডিজনি+হটস্টার, অ্যামাজন প্রাইম, জিফাইভ এবং সোনি লিভ। এর মধ্যে ডিজনি+হটস্টার এবং জিফাইভ ইতিমধ্যে অ্যাড নির্ভর ফ্রি ওটিটি স্ট্রিমিং পরিষেবা শুরু করেছে। সেই তালিকায় নেটফ্লিক্স যোগ হলে একটি বড় চমক হবে ওটিটি-প্রেমীদের জন্য। তবে বাংলাদেশে ফ্রি সাবস্ক্রিপশনের বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়।
বর্তমানে নেটফ্লিক্সের অ্যাক্টিভ ইউজার সংখ্যা ৪ কোটি, যা এক বছর আগে ছিল ৫০ লাখ। অর্থাৎ ১২ মাসের মধ্যে ৮ গুণ অ্যাক্টিভ ইউজার বেড়েছে নেটফ্লিক্সের। গত বছর পাসওয়ার্ড ক্র্যাকডাউন অভিযানও চালিয়েছিল কোম্পানি। পাসওয়ার্ড শেয়ারিং রুখতে এই পদক্ষেপ নিয়েছিল নেটফ্লিক্স।