টাঙ্গাইল পৌর মেয়রসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

image_99357_1719467698.webp

দেশের তথ্য ডেস্কঃ

টাঙ্গাইলে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ব্রিজ ভেঙে পড়ার দায়ে পৌর মেয়রসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে দুদক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানা যায়। এতে মামলাটি দ্রুত এজাহারভুক্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যাদের নামে মামলার অনুমোদন দিয়েছেন তারা হলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিক্সস অ্যান্ড ব্রিজেজ লি. অ্যান্ড দি নির্মাতা (জেভি) স্বত্বাধিকারী মোস্তফা মোহাম্মদ মাসুদ, প্রকল্প পরিচালক একেএম রশীদ আহমেদ, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহম্মেদ আজমী, সহকারী প্রকৌশলী রাজীব কুমার গুহ ও উপসহকারী প্রকৌশলী একেএম জিন্নাতুল হক।

জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভার বেড়াডোমা লৌহজং নদীর ওপর এলজিইডির অর্থায়নে নির্মাণাধীন ব্রিজটির কাজ বাস্তবায়ন করে টাঙ্গাইল পৌরসভা।

ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা। ৪০ মিটার দৈর্ঘ্য আর ৮ মিটার প্রস্থের ব্রিজটি ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পের চুক্তি অনুযায়ী ব্রিজ নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ১১ মে

নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই ওই বছরই ১৬ জুন রাতে পানির স্রোতে নির্মাণাধীন ব্রিজ পশ্চিম পাশের বাঁশ ও কাঠের খুঁটিগুলো সরে গিয়ে নির্মাণাধীন একাংশ দেবে যায়। এতে ধারণা করা হয় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই তিন কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয়ের গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এরপর দুদকসহ বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত শুরু করে। অবশেষে অভিযুক্ত মেয়রসহ ৬ জনের নামে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

আর টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি লোকমান হোসেন বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। এমন কিছু হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share this post

PinIt
scroll to top