খুলনায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে একট্টা জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা

1-9.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক-

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে খুলনা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন তাঁর নির্বাচনী এলাকা থেকে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গিবাদ নির্মূলের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ লক্ষ্যে তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করেন খুলনার প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে মত-বিনিময় সভার।

শুক্রবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় দৌলতপুর থানাধীন রেলিগেট এ্যাডামস মিলনায়তনে এ মত-বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মত-বিনিময় সভায় খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কেএমপি কমিশনারসহ, কেএমপি’র শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, খুলনার শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা, দৌলতপুর এবং খান জাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ, খুলনা- ৩ আসনের আওতাভুক্ত দৌলতপুর এবং খানজাহানআলী থানার ওয়ার্ড কমিশনারবৃন্দ, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভায় মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সকলে একট্টা হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

মত-বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক।

মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, আমরা শুধু দলের নেতৃত্ব দিই না, জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি। আমি বিশ্বাস করি মাদক যদি বেঁচতে হয়, তাহলে আমাদের ছত্রছায়ায় বেঁচতে হয়। যদি কেউ সন্ত্রাসী করে সেটাও আমাদের ছত্র ছায়ায়। কারণ ক্ষমতার দাপট যদি না থাকে তাহলে এই ধরনের আকাম-কুকাম করতে পারে না। যারা ভূমিদস্য প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের ছাত্রছায়া ছাড়া এ ধরনের কাজ কেউ করতে পারে না।

তিনি বলেন, খুলনায় আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ যে ফোরাম সেখানে রেজুলেশন করা আছে খুলনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে না এবং কোন তদবির করবেনা। প্রশাসন আছে অথচ সেই মাদক নির্মূল হয় না। বক্তৃতা দিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে কোন লাভ নেই। বাস্তবে যদি কাজ করা না যায়। জনগণ আমাদের ভোট দেয় ৫ বছর পরপর। তারা শান্তিপূর্ণভাবে থাকতে চাই। ছেলে মেয়ে নিয়ে সম্মানজনকভাবে বসবাস করতে চাই। জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসন এটার নিশ্চয়তা দেবে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু এবং মাদক জনগণ চায় না। এটা নির্মূল করতে হলে যারা প্রশাসনে আছেন, তারা যদি বলেন কারা এগুলো করে, আমরা জানি না, এইডা একটা ভুল, মিথ্যা কথা বলা হবে। মাদক নির্মূল যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে চাই তাহলে কিভাবে এই ব্যবসা হবে? মাদকের ব্যবসা কিভাবে করে? কারা করে? কি তাদের পরিচয়? কে তাদের শেল্টার দেয়? কারণ যে কোন আকাম করতে গেলে তার একটা শেল্টার দরকার হয়। জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এই কাজগুলো করেন। আমরা মাদকের ব্যাপারে জিরোটলারেন্স এই কথাটা বারবার বলি, কিন্তু তারপরও মাদক আজকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। একটা ব্যাধি হিসেবে দাঁড়িয়েছে। সন্ত্রাস মানুষের অশান্তি সৃষ্টি করে। সন্ত্রাস সৃষ্টি করবে। এ ধরনের লোককে দলে পুষতে হবে। যারা পোষে আমি তাদের ঘৃণা করি।

তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে মেয়র, একটি এলাকার ২০ বছর ধরে এমপি ছিলাম। এখনও নিয়ন্ত্রণ করি। এই পর্যন্ত আমি কোনও থানার ওসিকে বলিনাই অমুককে ধরেন, অমুককে ছাড়েন। ভূমি দস্যু, এরা অমানুষ। এ ধরনের লোক দিয়ে রাজনৈতিক দল চলতে পারে না। আমি তাদেরকে মানুষ মনে করি না।

Share this post

PinIt
scroll to top