দেশের তথ্য ডেস্ক চাঁদপুর প্রতিনিধি :- পরিপাটি পাকা সড়ক দিনের পর দিন নষ্ট হচ্ছে বালুবাহী ট্রাকের আনাগোনায়। প্রায় আড়াই কিলোমিটারের পাকা সড়কটি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে শোল্ডার, এজিন, মেকাডম আর কার্পেটিং উঠে লম্বা লম্বা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে এই সড়কে প্রতিদিন চলাচলকারী শতাধিক গনপরিবহনের যাত্রীদের জীবন বিষিয়ে উঠেছে।
সড়কে চলাচলকারী গণপরিহনের যাত্রীদের অভিযোগ, ওভারলোড করে বালু পরিবহনের কারণে সড়কের এ বেহাল অবস্থা।
তবে বালু পরিবহনে সড়কের অবস্থা এমন হয়নি বলে বালু ব্যবসায়ীদের দাবি।
এলজিইডি বলে আসছে, চলিত অর্থবছরে সড়কের সংস্কার করা হবে।
সড়কটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল পূর্ব বাজার থেকে শুরু করে বলাখাল-নাটেহরা সেতু হয়ে রামচন্দ্রপুর বাজার পর্যন্ত চলে গেছে। সড়কের এ অংশের সেতুর উভয় পাড়ে রয়েছে প্রায় ১০টি বালুমহাল।
মূলত এই বালু মহালগুলো থেকে বালু পরিবহন হয় এই সড়ক দিয়ে।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের মুখ হতে বলাখাল পূর্ব বাজার থেকে শুরু করে বলাখাল বকুলতলা আর জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত বলাখাল-নাটেহরা সেতু হয়ে রামচন্দ্রপুর বাজার পর্যন্ত পাকা সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার। সেতুর উভয়পাড়ে কমপক্ষে ১০টি বালু মহাল রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ বালুমহাল সেতুর উত্তর পাড়ের বলাখাল অংশে।
এই সকল বালু মহাল থেকে ট্রাকে করে সারা দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বালু পরিবহন করা হয়। লোকালয়ের ওপর দিয়ে এমন বালু পরিবহনের কারণে সড়কের পাশের আর জে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সড়ক সংলগ্ন বাসা বাড়িতে বালু উড়ে যা। এতে পরিবেশের ক্ষতি সাধন হচ্ছে। ভেজা বালু পরিবহনের কারণে পুরো সড়কে বালুর স্তর পড়ে যা অন্য সকল পরিবহনের চাকার সাথে মিশে একাকার হয়। বিশেষ করে শিশুরা এ বালুতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, বালু মহালগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক বালুবাহী ট্রাক এই সড়ক দিয়ে যাওয়া-আসা করে। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে সড়কের বেশিরভাগ অংশের শোল্ডার, এজিন, মেকাডাম আর কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এ সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত একাধিক স্কুটারচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বালুমহালের লোকদের কারণে এখানে কিছু বলা যায় না। ভাঙা সড়কে গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিদিন বাড়িতে গিয়ে ব্যথার ওষুধ খেতে হয়।
বালুমহালের মালিক পক্ষের একজন ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাজের লিটন ভূইয়া মুঠোফোনে জানান, তাদের বালু নিয়ম মেনে পরিবহন করা হয়। ওভারলোড করে কখনো বালু পরিবহন করা হয় না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এজিইডি) হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, বালুমহালের বালু পরিবহনের কারণে সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটারের অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে। জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে আমরা আসছে অর্থবছরে সড়কটি সংস্কার করবো।