গত ০৮ জুন ২০২৪ রাত ২০.০০ ঘটিকার সময় খুলনা সদর থানাধীন ডাকবাংলা মোড়ের লাভলু হোটেলে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে জনৈক ব্যক্তি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন অভিযোগে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা জরিমানা করে উক্ত হোটেল ম্যানেজারের নিকট হতে জরিমানার টাকা আদায় করেন। পরবর্তীতে ম্যানেজার হোটেল মালিককে জরিমানার বিষয়টি অবগত করলে হোটেল মালিক তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন ঘটনার দিন ০৮ জুন ডাকবাংলা মোড় এলাকায় খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়নি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীকে সনাক্তপূর্বক গ্রেফতারের জন্য খুলনা মহানগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ জুন রাত ১১:৩০ ঘটিকার সময় খালিশপুর থানাধীন বৈকালী এলাকায় অভিযান পরিচলনা করে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট ০১) এম সোহেল আরমান(৩৮), পিতা-মোঃ আবুল ফজল, সাং-ডুবি, থানা-বটিয়াঘাটা, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় গ্রেফতারকৃত ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট এম সোহেল আরমান এর হেফাজত হতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত ১) জরিমানা আদায়ের বহি, ২) ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক কারাদন্ড বা জরিমানার জন্য কয়েদের পরোয়ানা ফরম, ৩) জব্দ তালিকা ফরম, ০৪) অভিযোগ গঠন ফরম, ৫) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত রিপোর্ট ফরম, ৬) সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনা এবং মোঃ আসিফুর রহমান, পরিচিতি নম্বর-১৬৫০৫, সিনিয়র সহকারী এক্সিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়, খুলনা নামক ০২ টি সীল এবং ৭) ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয় দানকারী প্রতারকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী লাভলু হোটেলের ম্যানেজারের এজাহারের ভিত্তিতে খুলনা সদর থানার মামলা পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে।