দেশের তথ্য ডেস্ক।।
রাজধানী তেজগাঁওয়ে অবস্থিত মদীনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট বালক কামিল মাদরাসায় অধ্যক্ষ নিয়োগে প্রশ্নফাঁস ও দুর্নীতির ঘটনার তদন্ত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, মদীনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট বালক কামিল মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষ নির্বাচনী বোর্ডের সভাপতিসহ মোট পাঁচজনকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৯ জুন) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, মদীনাতুল উলুম মডেল ইন্সটিটিউট বালক কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য গত ১০ মে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষায় ফেনী আলিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক মুহাদ্দিস মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ অংশগ্রহন করেন। প্রতিষ্ঠানটির উপাধ্যক্ষ মোস্তফা কামালও অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধিরা প্রশ্নপত্র প্রণয়নে দায়িত্ব পালন করেন।
অভিযোগ উঠেছে, মোস্তফা কামালকে প্রশ্নপত্র প্রণয়নে জড়িতদের কেউ আগেই প্রশ্ন সরবরাহ করেছে। সেই প্রশ্নের আলোকে মোস্তফা কামাল হুবহু উত্তরগুলো নকল আকারে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। নকলের সঙ্গে তার হাতের লেখার হুবহু মিল রয়েছে। তাই বিষয়টি অন্যান্য পরীক্ষার্থী প্রার্থীদের দৃষ্টিগোচর হলে এ সংক্রান্ত কিছু প্রমাণাদি তারা সংরক্ষণ করে রাখেন।
নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, মোস্তফা কামালকে সকল প্রশ্ন পরীক্ষায় প্রথম করার জন্য আগেই সরবরাহ করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ফেরদৌসি আলম জড়িত আছেন।
তাই নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে মোস্তফা কামালের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রেখে পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী মোহাম্মদ সাইফুল্লাহকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মোস্তফা কামাল সহ প্রশ্নফাঁস-দুর্নীতির মতো ঘৃণিত অপরাধে জড়িতদের খুঁজে বের করার জন্য একটি স্বাধীন-নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে নোটিশের জবাব দাখিলের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায়, এ বিষয়ে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে দেওয়ানী-ফৌজদারি আইনে কিংবা মহামান্য হাইকোর্টে প্রতিকার চেয়ে রিট দায়ের করা হবে।