নেত্রকোনায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িতে অভিযান চলছে

21.webp

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

নেত্রকোনা সদর উপজেলা ভাসাপাড়া গ্রামে জঙ্গি আস্থানা সন্দেহে ঘরি রাখা বাড়িটিতে পুলিশের অভিযান চলছে। অভিযানে ঢাকা থেকে আসা এন্টি টেররিজম ও সোয়াট এর সদস্য, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য, জেলা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৫০ জন সদস্য অংশ নেন। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি শাহ্ আবিদ হোসেন। কঠোর নিরাপত্তায় ভবনটির ভেতরে অভিযান চলছে।

এদিকে নেত্রকোনা পৌরশহরে সমশের নগর এলাকার একটি চারতলা বাড়িতে জঙ্গি অবস্থান করছে- এমন অভিযোগে গতকাল রাত থেকে পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রাখে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে ওই এলাকায় জঙ্গি আস্তানা থাকার খবর পায় পুলিশ। এরই ভিত্তিতে গতকাল শনিবার বেলা ১টার দিকে নেত্রকোনা সদর থানা পুলিশ বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষে একটি বিদেশি পিস্তল, ১৭ রাউন্ড তাজা গুলি, বেশ কিছু খেলনা পিস্তল, এক বস্তা নিষিদ্ধ জিহাদি বই, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাপসহ জঙ্গি প্রশিক্ষনে ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জাম পাওয়া যায়।

অভিযানের সময় প্রাথমিকভাবে বাড়িটিতে কোনো লোকজন পাওয়া না গেলেও বাড়িটিতে জঙ্গি প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা বোমা, অস্ত্র কিংবা বিস্ফোরক দ্রব্য থাকার আশঙ্কা করছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভাসাপাড়া গ্রামের ওই বাড়িটির মালিক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান। তিনি নেত্রকোনার সদর উপজেলার বনোয়াপাড়া এলাকার মর্ডান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তার বাড়ি জেলার আটপাড়া উপজেলা নোয়াপাড়া গ্রামে।

বাড়ির মালিক আবদুল মান্নান প্রায় ২০ বছর আগে এই বাড়িতে একটি মহিলা মাদরাসা স্থাপন করেন। স্থাপনের কিছু দিনের মধ্যেই মাদরাসা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় দুই বছর আগে বাড়িটি তিনি এক ব্যক্তির কাছে ভাড়া দেন।
স্থানীয়রা জানান, ভাড়া দেওয়ার পর বাড়ির সীমানা প্রাচীর আরও উঁচু করা হয়। বাড়ির ভেতর তিনটি পুকুর, নারকেলগাছ, আমগাছসহ অনেক গাছগাছালি রয়েছে।

বাড়িটিতে অনেকগুলো সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। ভাড়াটিয়ারা পরিবার পরিজন নিয়ে থাকার অজুহাতে ওই বাড়িতে স্থানীয় কাউকে ঢুকতে দিত না।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, বাড়িটি একটি জঙ্গি আস্তানা এবং এখানে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশের বিশেষায়িত টিম কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভেতরে প্রবেশ করে চূড়ান্ত অভিযান চালিয়েছে।

Share this post

PinIt
scroll to top