মোদিকে ক্ষমতার বাইরে রাখার অঙ্গীকার মমতার

Khulna-Gazette-News.-19-1.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

 

লোকসভার নির্বাচনে জনগণের দেওয়া ম্যান্ডেট মেনে নিয়ে শিগগিরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার ভারতের লোকসভার অর্ধেকেরও বেশি আসনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কোনও দলই এখন পর্যন্ত সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নির্বাচন কমিশনের ফল ঘোষণা চলাকালীন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মমতা।

এ সময় তিনি বলেন, ‌‌‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এখনই পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন… তিনি অনেক দল ভেঙে দিয়েছেন। মানুষ তার মনোবল ভেঙে দিয়েছে… ভারত জিতেছে এবং মোদি হেরেছে… আমি মোদিকে ক্ষমতার বাইরে রাখার এবং ইনডিয়া জোটের ক্ষমতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব।’’

মমতা বলেন, ‘‘আমরা বসিরহাট লোকসভা আসনে জিতেছি, যেখানে সন্দেশখালি অবস্থিত। আমাদের মা ও বোনদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানো সত্ত্বেও আমরা সেখানে জয় পেয়েছি।’’ বিরোধীদলীয় নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, মোদি ও তার দল তাদের ‘অহংকারের’ জন্য হেরেছে।

‘‘আমি খুশি যে প্রধানমন্ত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। তিনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। তার অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’’

উত্তরপ্রদেশের অযোদ্ধায় বহুল বিতর্কিত রাম মন্দির থেকে চলতি বছর নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার সেখানেও হেরে গেছে বিজেপি। এই বিষয়ে মমতা বলেন, এত নৃশংসতা ঘটিয়েও, এত টাকা খরচ করেও, এই দাম্ভিকতা… ভারত জিতেছে আর মোদি হেরেছে। এমনকি তারা অযোধ্যায়ও হেরেছে।

১৯৯২ সালে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় অযোধ্যা শহরে হামলা চালিয়ে ষোড়শ শতকে নির্মিত ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদটি গুঁড়িয়ে দেয় দেশটির উগ্রপন্থী হিন্দুত্ববাদীরা। হিন্দু দেবতা রামের জন্মস্থানে নির্মিত প্রাচীন একটি মন্দিরের ওপর মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে দাবি করে মোদির বিজেপি।

মন্দিরের স্থানে মসজিদ নির্মাণের এই অভিযোগ নিয়ে দেশটিতে কয়েক দশক ধরে হিন্দু-মুসলিম বিবাদ চলে। পরে উগ্রপন্থী হিন্দুরা মসজিদটি ধ্বংস করে দেওয়ায় ভারতজুড়ে ভয়াবহ দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। এই দাঙ্গায় দেশটিতে ২ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে; যাদের বেশিরভাগই মুসলিম। ঐতিহাসিক এই মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা বিজেপিকে ভারতের রাজনীতির মূলধারায় নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর কট্টর হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক উত্থান ঘটে ভারতে।

Share this post

PinIt
scroll to top