বিশেষ প্রতিনিধিঃ তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদে ২ জুন রবিবার সকাল ১১ টায় পাইকগাছা জেলার বেদবুনিয়া গ্রামের মোঃ আজিজুল গাজী খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার বাড়ি পাইকগাছা আমার সাথে সোনিয়া বেগমের ১৩ বছর পূর্বে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। আমাদের দাম্পত্য জীবনে সৌরভ গাজী নামে ১১ বছর বয়সের ছেলে সন্তান আছে। সোনিয়াকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি বলে যখন যা বলেছে তার সব কথা শুনে সংসার করেছি। একটি ছেলের সাথে তার অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পেরে, তার সাথে বাকবিতণ্ডা হয় তাও আমার সন্তানের কথা চিন্তা করে কখনও তাকে কিছু বলিনি। এরপর দিনে দিনে তার অত্যাচার বেড়েই ওঠে। আমার ইনকামের টাকা, ঘরের আসবাবপত্র ও সোনিয়াকে আমি যে স্বর্ণালঙ্কার বানিয়ে দিয়েছি তার সবই তার মাকে বিভিন্ন সময় দিয়ে দেয়। তার সাথে একটি ছেলের অবৈধ সম্পর্ক আছে, এ ঘটনা যখন আমি আমার শাশুড়িকে বলি তখন আমার শাশুড়ি ও তার সাপোর্ট নিয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর থেকেই আমাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। তাই তার সাথে বনিবনা না হওয়ায় তাকে ৩ মার্চ ২৪ তারিখে তালাক প্রদান করি। ৫ মার্চ ২৪ তারিখে সোনালী ব্যাংক লিঃ শাখায় তার দেনমোহর ও খরপোষ বাবদ ৪ লক্ষ ৯০ হাজার ৫৮ টাকা পরিশোধ করি। দেনমোহর ও খরপোষের টাকা পেয়ে তালাকনামা ডাকযোগে ১০ মার্চ ২৪ তারিখে সোনিয়া রিসিভ করেন। সাথে সকল সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর সোনিয়া ২৭ মার্চ ২৪ তারিখ ১৫৪ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে যৌতুকের জন্য মারধরের ঘটনায় আমার নামে মামলা দায়ের করেন। সোনিয়া আমার নামে মিথ্যা মামলা করে আমাকে জেল হাজতে পাঠায়। এরপর ২১ মে ২৪ তারিখ বেলা ৩টার সময় সোনিয়া আমাদের বাড়িতে এসে আমার বসতঘরে থাকা যাবতীয় মালামাল নিয়ে যায়। আমার ঘের করার মতো জমি না থাকায় অন্যের জমি হারি নিয়ে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে মাছের ঘের করতাম। তা থেকে যা আয় হতো সেই টাকায় তাকে খুশি রাখতে সে যা বলতো তাকে তাই কিনে দিতাম। এত কষ্টের পরও সোনিয়ার মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারিনি। যাদের কাছ থেকে হারি নিয়ে ঘের করতাম সোনিয়া আমাকে জেলে পাঠিয়ে সেই ঘের অন্য মানুষকে হারি দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়। ভালবেসে সোনিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে আমার বিয়ে হয়। নারী নির্যাতন কি জিনিস সেটা তো জানি না।
তবে বিয়ের পর থেকেই প্রতিটা মুহূর্ত আমি নির্যাতিত মানুষ। পুরুষ মানুষ তাই বলতে লজ্জা হয় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে আমার স্ত্রী আমার গায়ে হাত তুলত যা আমি কাউকে বলতেও পারতাম না। আমার মায়ের সাথেও সোনিয়া ভালো ব্যবহার করত না। বিয়ের পর জানতে পারি এর আগেও তার একটি বিয়ে ছিল। তাও চেয়েছিলাম ভালোবেসে বিয়ে করেছি যখন সংসার করব। কিন্তু আমার ঘরে থেকেও সে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল। এমন চরিত্রের মানুষ সেটা জানলে হয়তো তার সাথে আমার সম্পর্কটা হতো না। আমি খুব কষ্টে একটি ইটের ঘর করি। সেই ঘরের যাবতীয় মাল ও ঘরের ইট পর্যন্ত লুটপাট করে নিয়ে যায় সোনিয়াসহ ৭ থেকে ৮ জন। আমার বৃদ্ধ মা কোনো কিছু বলার আগেই মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমার মা ভয়ে কোনো কথা বলে না। আমার বড় ভাইয়ের বউ (ভাবী) বাধা দিলে তাকে লাঠি নিয়ে তেড়ে যায়, অকথ্য ভাষায় গালি ও খুন করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এখন আমি আমার জীবনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মেয়ে মানুষের কথা সকলেই শোনে আমার মতো পুরুষের কথা কেউ শোনে না। আমার বাড়িঘর দখল করে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে এলাকা ছাড়া করেছে। সোনিয়া আমার বাড়িতে এসে আমার মা ও ভাবীর সামনে বলে, মোঃ আজিজুল গাজী বাড়িসহ যা আছে সবকিছু সোনিয়ার নামে লিখে দিতে হবে। না হলে আমি ও আমার পরিবারের কাউকে বাঁচতে দেবে না।