দেশের তথ্য ডেস্ক।।
নিয়ামতপুর থেকে আনোয়ারপুর সড়কের মেরামতের কাজ শেষ না করায় চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বিভিন্ন যানবাহনসহ চারটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ। অথছ এই সড়কের কাজ শেষ করতে হাতে একমাস সময় রয়েছে। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে প্রকল্পের কাজের ৫০ ভাগও বাস্তবায়ন হয়নি। এই অবস্থায় এসড়কে প্রায় প্রতিদিনই দূর্ঘটনা ঘটছে।
এ নিয়ে সর্বমহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে, সেই সঙ্গে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
সড়কটি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর থেকে আনোয়ারপুর হয়ে তাহিরপুর উপজেলাসহ দুটি উপজেলায় যাওয়ার বিকল্প এবং গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নিয়ামতপুর থেকে তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ারপুর সড়ক নির্মাণের কাজ গত ২০২২ সালে শেষ হয়। একই বছরে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কটি।
পরে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত এক বছর মেয়াদে নিয়ামতপুর থেকে আনোয়ারপুর পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার সড়ক বন্যা পূর্ণবাসন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কামরুল অ্যান্ড ব্রাদার্স অ্যান্ড সালেহ আহমদ জয়েন্ট ভেঞ্চার নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৪৫ভাগ শেষ করতে পেরেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অথচ কাজের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের জুন মাসে। তবে তদারকি সংস্থা সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাবি, সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি থাকায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যায়নি।
এজন্য প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম প্রামানিক। তিনি আরো জানান, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি পেলেও প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়বে না। তবে তিনি আশা করেন আগামী অর্থবছরের মধ্যে কাজটি শেষ হবে।
সড়কের পাশের বাসিন্দা সুহেল আলম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের কাজের দায়িত্বশীলদের খামখেয়ালির কারনে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, মধ্যনগর, ধর্মপাশা উপজেলার ভাটি অঞ্চলের চলাচলকারী লাখ লাখ মানুষ ও বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সড়কটি চালু হলে যোগাযোগও সহজ হবে, সময় ও টাকাও বাচঁবে।
অন্যথায় জেলা শহর থেকে বিশ্বম্ভরপুর সদর হয়ে তাহিরপুরে যেতে হয়, এতে যাতায়াতে প্রায় ১০কিলোমিটার পথ বেড়ে যায়।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বাগগোয়া গ্রামের বাসিন্দা শামিম আহমেদ জানান, সড়কে শুরুতে কাজের গতি বেশি ছিল। কিন্তু কিছু দিন পর শ্রমিক ও মেশিনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ায় কাজ শেষ হয়নি। বর্ষায় এই সড়কে দুর্ভোগের শেষ থাকবে না আমাদের। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইচ্ছে করলেই জুনের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারত।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স কামরুল অ্যান্ড ব্রাদার্স অ্যান্ড সালেহ আহমদ জয়েন্টভেঞ্চারের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. সুজন শেখ জানান, গেল বছরের জুলাই থেকে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করতে হয়েছে। হাওর এলাকা হওয়ায় এখানে ১২মাস কাজ করা যায় না। এখন বৃষ্টিপাত শুরু হবে, এজন্য এবছর কাজ শেষ করতে পারব না, আগামী অর্থবছরে কাজ শেষ হবে।