দেশের তথ্য ডেস্ক।।
সালাহউদ্দিন ইউসুফ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা সহকারি শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগের ঘটনায় শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) সকালে তাকে আটক করা হয়।
শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, সালাহ উদ্দিন ইউসুফ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাংলা সহকারি শিক্ষক হিসেবে মো. হুমায়ুন কবির ২০২২ সালের গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রথম যোগদান করার পর থেকেই আমাদের সকল শিক্ষার্থীদের কুদৃষ্টি, উত্ত্যক্ত ও কুপস্তাব, গায়ে হাতসহ নানা রকমের খারাপ ইঙ্গিত করেছেন।
প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীরা হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলে প্রধান শিক্ষক ঠাকুরদাস তরফদার অভিযোগের কথা স্বীকার করে বলেন, হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর বাংলাদেশের মহাপরিচালক বরাবর চলতি বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর আমি অভিযোগ পাঠিয়েছি।
আমি ভেবেছিলাম কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা রাগান্বিত হয়ে বিদ্যালয়ে এ ঘটনার উৎপত্তি হয়। আমি বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসকের নিকট এ বিষয়ে না জানানোর জন্য আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
এ বিষয়ে অনেক অভিভাবকেরা নানা অভিযোগ তুলে বলেন, আমরা মনে করি বিদ্যালয়ে আমাদের মেয়েরা সুরক্ষিত থাকবে। সেই বিদ্যালয়ে মেয়েরা লাঞ্ছিত হলে কোথায় সুরক্ষিত থাকবে। হুমায়ুন কবিরের মতন শিক্ষক যদি বিদ্যালয়ে থাকে তাহলে বিদ্যালয়ের বাইরে অপেক্ষা করেও আমাদের মেয়েদের সুরক্ষিত রাখা সম্ভাব না।
৩১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম আরিফুর রহমান মিঠু বলেন, শিক্ষক পিতার মতন হয়, শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষক রক্ষক, সেই শিক্ষক যদি হয় ভক্ষক। তা হলে এর থেকে খারাপ আর কিছু হয় না।
১০নং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জলি বলেন, শিক্ষক যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদেরকে শারীরিক মানসিক হয়রানি করেন। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এ ধরনের নেককার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই বাংলা সহকারি শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবিরের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করি। যেন কোন শিক্ষক এ ধরনের অপরাধ করার চিন্তাও না করে।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বাংলা সহকারি শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মৌখিক ও লিখিত নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জনপ্রতিনিধি ও অভিভাবকদের মতামত নিয়েছি। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কে সার্বিক ঘটনা জানিয়েছি তিনি আমাকে যা বলেছেন, আইনগত ভাবে যে বিষয়টি থাকে আমাকে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আমি যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
লবনচড়া থানার ওসি মমতাজুল হক বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।