উপকূলের আবহাওয়া প্রতি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে

10-18.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হওয়া প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার অদূর দক্ষিণে অবস্থান করছে। প্রবল আকার ধারণ করা ঘূর্ণিঝড়টি ধীর গতিতে উত্তরে এগিয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। ধারণা করা হচ্ছে ঝড়টি রোববার (২৬ মে) মধ্যরাতে মংলা ও কুয়াকাটা সৈকতের ওপর আছড়ে পড়বে।

ইতিমধ্যে পায়রা সমুদ্র বন্দর, বরিশাল ও উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া ও বেলুন স্টেশনের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুল কুদ্দুস তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের নিকটবর্তী হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২টার মধ্যে মংলা ও কুয়াকাটা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

কলাপাড়া উপজেলার খেপুপাড়া রাডার স্টেশন কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল জব্বার বলেন, রাতের তুলনায় বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। গতকাল রাতে ১০/১৫ নটিক্যাল মাইল বেড়ে বাতাস প্রবাহিত হলেও সকাল সাড়ে ৮টায় রেকর্ড করা রিপোর্ট বলছে ২০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূলের যত নিকটবর্তী হচ্ছে ও হবে এই গতিবেগ তত বাড়বে। এখন পর্যন্ত ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়ায় উপকূলবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে নিরাপদে অবস্থান নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া গভীর সমুদ্র ও নদী বন্দরের মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে নোঙর করে রাখতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সম্ভাব্য একটি কেন্দ্র কুয়াকাটায় শনিবার মধ্যরাত থেকে টানা বৃষ্টি বর্ষিত হচ্ছে। বৃষ্টি আর প্রবল বাতাসের প্রভাবে ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না মানুষ। ইতিমধ্যে খাল-বিল, নদ-নদীতে বেড়েছে জোয়ারের পানি আর সঙ্গে যোগ হচ্ছে ভারী বর্ষণ।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ভারী বর্ষণের ফলে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি ৩ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধির সম্ভাবনা করা হচ্ছে। উপকূলের আবহাওয়া প্রতি মুহূর্তে বদল হচ্ছে।

Share this post

PinIt
scroll to top