শাহরিয়ার কবির, নিজস্ব প্রতিবেদক ।। খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে পূর্বের তুলনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে দেশের উপক‚লীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস ঘনঘন আঘাত হানছে। এর ফলে হুমকির মুখে পড়ছে উপক‚লীয় জনজীবন। এমপি রশীদুজ্জামান বলেন, যেখানে এক সময় এক দশকের ব্যবধানে ঘূর্ণিঝড় দেখা যেতো না, সেখানে এখন প্রতিবছর আবার কখনো কখনো একই বছরে একাধিক ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানছে। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ বাড়লেও এখন যানমালের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমে এসেছে। সরকারের সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি সচেতনতাবৃদ্ধি ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমে এসেছে, পাশাপাশি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন নিজের জীবন বিপন্ন করে বুক আগলে দিয়ে উপক‚লীয় অঞ্চলের প্রাণ ও প্রকৃতিকে রক্ষা করছে।
তিনি বলেন, উপক‚লীয় অঞ্চলের দুর্যোগের অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে নির্বাচনী এলাকা পাইকগাছা-কয়রা। দুর্যোগের আভাস দিলেই এখানকার মানুষের মধ্যে উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠা বাড়ে। দুর্যোগের ফলে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ সম্পদের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে উপক‚লীয় এ জনপদ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও লবণ পানির আগ্রাসনে এখানকার পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। মানুষ চলে যাচ্ছে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। দুর্যোগ মোকাবেলা সহ পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টুর সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) ইফতেখারুল ইসলাম শামীম, ওসি ওবাইদুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসীম কুমার দাস, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈকত মল্লিক, শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা, মেডিকেল অফিসার ইব্রাহিম গাজী, ওসি (তদন্ত) রঞ্জন কুমার গাইন, ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার, শাহজাদা মোঃ আবু ইলিয়াস, শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া। বক্তব্য রাখেন, প্যানেল চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, শংকর বিশ্বাস, রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা ইলিয়াস শাহ, সিপিপি উপজেলা টিম লিডার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ইঞ্জিনিয়ার নাজমুস শাহাদাৎ জজ। সভায় ১০৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার করা, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা, ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা সহ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।