দেশের তথ্য ডেস্ক।।
ব্যাট হাতে দারুণ পারফর্ম করেও আরও একবার একরাশ হতাশা নিয়ে আইপিএল শেষ করেছেন বিরাট কোহলি। গতকাল (বুধবার) এলিমিনেটর ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হেরে তার দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু বিদায় নিয়েছে। এমন ফলই যেন কোহলির বড্ড চেনা, তবুও অচেনা সাফল্য পাওয়ার হতাশায় তিনি ভেঙে পড়েছেন। শিরোপাখরা ঘুচাতে তাকে এবার বেঙ্গালুরু ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসিরাও এক সময় দল ছেড়েছেন বলে কোহলির সামনে নতুন করে উদাহরণ হাজির করেছেন পিটারসেন। ম্যাচ শেষে সম্প্রচারকারী চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘আমি এটা আগেও বলেছি এবং আবারও বলব, অন্যান্য খেলার গ্রেটরা সাফল্যের খোঁজে এক দল ছেড়ে আরেক দলে যোগ দিয়েছেন। যখন সে সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে… আরও একবার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছে এবং আবারও নিজের সেরাটা দিয়েছে, আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ফের ব্যর্থ হয়েছে। আমি মনে করি, বিরাটের দীর্ঘ সময় নিয়ে এবং গুরুত্ব দিয়ে ভাবার সময় এসেছে। ডেভিড বেকহ্যাম, রোনালদো, মেসি দল ছেড়েছে, টটেনহ্যাম হটস্পার ছেড়ে কেবলই বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দিয়েছে হ্যারি কেইন।’
এর আগে কেবল একবারই আইপিএলের ফাইনাল খেলেছিলেন কোহলিরা। তবে সেখানেও তাদের রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এবারও দুর্দান্ত কামব্যাকের গল্প লিখে টানা ৬ জয়ের পর প্লে–অফে ওঠে বেঙ্গালুরু। কিন্তু রাজস্থানের সামনে তাদের সেই যাত্রা থামাতে হয়েছে। অথচ বিদায়ের আগে নিজের নামের পাশে কোহলি তুলেছেন ৭৪১ রান। গড় ৬১.৭৫ ও স্ট্রাইক রেট ১৫৪.৭০। আসরে ৬০০ রানও করতে পারেননি আর কেউ। এমনকি দলের ছিটকে পড়ার দিনই আইপিএলে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে কোহলি ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
তাই তো ভারতীয় এই ক্রিকেট তারকার ভিন্ন দলের জার্সি গায়ে তোলা উচিৎ বলে মনে করেন পিটারসেন। তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারছি, দলের ব্র্যান্ডের জন্য এবং তার উপস্থিতি দলের বাণিজ্যিক মূল্যে প্রভাব ফেলে…কিন্তু বিরাট কোহলির তো অন্তত একটি শিরোপা প্রাপ্য। তার এমন একটি দলে খেলা উচিৎ, যারা তাকে ট্রফিটি জিততে সাহায্য করতে পারে।’
সেই দল কোনটি হবে তা–ও বলে দিয়েছেন পিটারসেন। আগের কয়েক মৌসুমেও কোহলি দিল্লি ক্যাপিটালসে যোগ দেবেন বলে গুঞ্জন ওঠেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তিনি আর সেটিকে পা বাড়াননি। পিটারসেনের মতে কোহলি নিজের রাজ্য দিল্লির হয়েই খেলা উচিৎ, ‘আমার মনে হয় দিল্লিতে যাওয়া উচিৎ। বিরাট এখান থেকে চলে যেতে পারে এবং বেশিরভাগ সময় ঘরেই কাটাতে পারে, আমি জানি দিল্লিতে তার একটি বাড়ি আছে, তার ছোট পরিবার। তাদের সঙ্গে আরও সময় কাটাতে পারে। সে দিল্লির ছেলে। কেন সে ফিরে যেতে পারছে না? বেঙ্গালুরুর মতো দিল্লিও শিরোপা জিততে মরিয়া হয়ে আছে।’উল্লেখ্য, প্লে-অফে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের তালিকায় সবার ওপর বেঙ্গালুরুর নাম। ২০০৮ সাল থেকে আইপিএল খেলছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। প্রতিযোগিতার শুরু থেকে খেলা চলা দলটি এ নিয়ে প্লে-অফে ১৬টি ম্যাচ খেলে ফেলল। তার মধ্যে হেরেছে ১০টিতেই। বেঙ্গালুরু ছাড়া প্লে-অফে আর কোনো দল এতগুলি ম্যাচ হারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ ম্যাচের ৯টিতে হেরেছে চেন্নাই সুপার কিংস।