দেশের তথ্য ডেস্ক।।
বঙ্গোপসাগরে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা দ্রুতই ঘণীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ অবস্থায় রাত ১টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৮০ কিলোমিটার, কোথাও কোথাও ৬০ কিলোমিটার গতিতে ঝড়ের শঙ্কা রয়েছে।
সোমবার (২০ মে) বিকেলে নদীবন্দরের জন্য দেওয়া আবহাওয়া সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং ফরিদপুর, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালীর ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এছাড়া ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট এবং যশোর ও কুষ্টিয়ার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে ঢাকাসহ দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পাশাপাশি সারা দেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতাও বাড়তে পারে।
সোমবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মংলায় ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। পরে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে এটি ঘণীভূত হতে পারে।