দেশের তথ্য ডেস্ক।।
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এর আওতায় প্রথমবারের মতো ১৪ জনকে নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে শুরু হলো বহুল আলোচিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এর বাস্তবায়ন। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব শ্রী অজয় কুমার ভাল্লা দিল্লিতে ওই ১৪ আবেদনকারীর হাতে নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট তুলে দেন। পরিচালক (আইবি), রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এবং সিনিয়র অফিসাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালে পাস হয় এই সিএএ আইন। এর অধীনে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা নথিবিহীন অমুসলিম অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব আবেদনের যোগ্যতার সময়কাল ১১ থেকে কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। অর্থাৎ যারা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে আগে ভারতে এসেছেন তারাই আবেদন করতে পেরেছেন। প্রতিবেশি তিন মুসলিম দেশ থেকে আসা হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টানরা সিএএ-এর অধীনে আবেদন করতে পারবেন।
আইনটি রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেয়েছে তবে যে নিয়মের অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছিল তা চার বছরের বেশি বিলম্বের পরে চলতি বছরের ১১ মার্চ জারি করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি তাদের ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কার্যকর করার প্রতিশ্রু দেয়। পরে কোভিড মহামারির কারণে তা বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয় বলেও জানানো হয়। তবে এ আইনের বিরোধীতা করেছে বিরোধী দলগুলো।
১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে কোনো ধর্মের উল্লেখ ছিল না। একই সঙ্গে নয়া আইনে, নাগরিকত্বের আবেদনের যোগ্যতার জন্য ভারতে থাকার সময়কাল ১১ বছর থেকে কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। ২০১৯ সালে কেন্দ্র সরকার যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করিয়েছে তাতে স্পষ্টত ধর্মের উল্লেখ আছে। আর সেটাতেই আপত্তি ছিল মমতাসহ বিরোধীদের। পদক্ষেপটিকে বৈষম্যমূলক এবং লোকসভা নির্বাচনে সুবিধা আদায়ের জন্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
২০২৪ সালের চলমান লোকসভা নির্বাচনে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে সিএএ। সিএএ আইন পাস হওয়ার পরই দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। সিএএ-র বিজ্ঞপ্তি জারি পরও, বিতর্ক চলছে এই আইন নিয়ে। তবে লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদানের কাজ শুরু হয়ে যাবে এমনটা ভাবতে পারেনি ভারতের বিরোধী দলগুলিও।