ঢুকলেই রক্ষা নাই,হারিয়ে যাচ্ছে মৎস্য সম্পদ

motso.jpg

 

মোঃ মিরাজুল শেখ,জেলা  প্রতিনিধি দেশের তথ্য বাগেরহাটঃ

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল ও জলাশয়ে চায়না ম্যাজিক এবং কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহার চলছে।প্রতিনিয়ত মারা পড়ছে শোল, গজার, টাকি, কৈ, পুঁটি, শিং, মাগুর, টেংরা,খলিশা,বাইম,তেলাপিয়া,খয়রা,ছোট চিংড়ি, পাঙ্গাশ,রুই, কাতলা ও আইড়সহ বিভিন্ন প্রজাতির ডিমওয়ালা ছোট বড় মাছ।ম্যাজিক ও কারেন্ট জালের ফাঁদে পড়ে কুঁচে, কাঁকড়া, ব্যাঙ, সাপ, কচ্ছপ, শামুকসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ প্রাণীও মারা পড়ছে। ফলে হুমকিতে পড়ছে তাদের জীবনচক্র, হারিয়ে যাচ্ছে জীব বৈচিত্র, ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য।

শনিবার(২২ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার দলুয়াগুনি বিল,ঘোলা ডর পাড়ার বিল,বড়গুনি বিলসহ এলাকার বিশাল জলরাশির বিভিন্ন অংশে ও নালার ধারে চায়না ম্যাজিক ও কারেন্ট জালের ফাঁদ পেতে স্থানীয় জেলেদের মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। এসব নিষিদ্ধ জালে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ ও জলজ প্রাণী।

চায়নার আবিষ্কৃত ম্যাজিক জাল এক ধরণের বিশেষ ফাঁদ। এটি প্রায় ২০ ফুট থেকে ৮০ ফুট লম্বা হয়ে থাকে।দেখতে অনেকটাই ছোট ছোট খোপের মত।খাল-বিল, নদী-নালা ও নালা-জলাশয়ে বাঁশের খুঁটির সাথে জালের দু’মাথা বেঁধে পেতে রাখা হয়।কিছুক্ষণ পর পর তুললে ছোট-বড় সব ধরণের মাছ এ জালে আটকা পড়ে। এলাকায় এই জাল ব্যবহারের কারণে মুক্ত জলাশয়ের মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এলাকায় এখন আর আগের মতো দেশীয় মাছ দেখা যায় না। ম্যাজিক জালে মাছের পাশাপাশি প্রচুর জলজ প্রাণিও মারা পড়ছে। এলাকার শত শত মানুষ বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার বাজার গুলো থেকে এই জাল উন্মুক্ত ভাবে ক্রয় করে থাকে।

স্থানীয় মৎসজীবীরা বলছেন, প্রতিটি ম্যাজিক জালের দাম ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা হলেও এতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। লাভ থাকায় জালের টাকা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ফলে জেলেরা এই জালে মাছ ধরার দিকে ঝুঁকছেন।

এলাকা বাসী জানান, প্রতিদিন সকাল-বিকেল দু’বেলা ছোট ছোট পোনা মাছ নিয়ে বাজারে আসে স্থানীয় জেলেরা। মৎস্য অফিস থেকে প্রতিনিয়ত তদারকি বা অভিযান পরিচালনা না করলে চায়না ম্যাজিক জালের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না। এভাবে চলতে থাকলে এলাকার মৎস্য ও জলজ প্রাণী সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে যাবে।এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ আসাদুল্লাহ কে পাঁচ বার ফোন করেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি।কিভাবে চায়না ম্যাজিক ও কারেন্ট জাল নির্মূল করা যায় সে ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Share this post

PinIt
scroll to top