দেশের তথ্য ডেস্ক।।
আসামী মোঃ ইয়াসির আরাফাত একজন মানব পাচারকারী চক্রের প্রধান সদস্য এবং অপর গ্রেপ্তারকৃত আসামী তারই পিতা মোঃ আব্দুর রহিম মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম সক্রীয় সদস্য। আসামীগন বেশ কয়েক জনকে বিদেশে পাঠায় এবং ভিকটিমদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে আস্থা অর্জনের মাধ্যমে হরিনাকুন্ড উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে দরিদ্র ১৯ জন সদস্যদের নিকট হতে মালয়েশিয়া যাওয়ার নাম করে আসামীগণ পঁচানব্বই লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং ভিকটিমদেরকে মালয়েশিয়ার ভূয়া ভিসার মাধ্যমে বিমানের ভূয়া টিকেট দেখায় এবং ফ্লাইয়ের কথা বলে ঢাকার পল্টনে ভাড়াকৃত বাসায় কয়েকটি গ্রুপে ভিকটিমদের আটকে রেখে অনেক মারধর করে হত্যা করার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে আসামী মামলার বাদি ভিকটিমকে লোহার রড দিয়ে পেটে আঘাত করে গুরুতর জখম করে এবং আসামীকে জোরপূর্বক মালয়েশিয়া পাচার করার হুমকি প্রদান করে। নিরুপায় হয়ে আলোচ্য বিষয়ে নিজে বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
১৩ মে ২০২৪ তারিখ র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার সদর থানার মানব পাচার মামলার অন্যতম প্রধান পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ বিকালে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুর থানা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মানব পাচার মামলার প্রধান পলাতক আসামী ১। মো: ইয়াসির আরাফাত ওরফে সবুজ(৩৪), পিতা- আব্দুর রহিম,২। মো:আব্দুর রহিম(৫৫),পিতা-মৃত এলাহী বক্স উভয়ে সাং- স্বরুপদা, থানা- চৌগাছা, জেলা- যশোরদ্বয়কে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।