জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশ অবশেষে হেরেই গেল

18-5.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।।

প্রথম দুই ম্যাচে বড় জয় পেলেও পরের দুই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ৯ ও ৫ রানে জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের টানা চার জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। তবে সমালোচনা হয় তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ের ধরণ ও ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে। যে জিম্বাবুয়ে ২০ দলের বিশ্বকাপে জায়গা কর‍তে পারেনি তাদের বিপক্ষে আজ হেরেই গেল বাংলাদেশ।

স্বাগতিকদের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য ** উইকেট হাতে রেখে তাড়া করে জিম্বাবুয়ে। সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল তারা!
লক্ষ্য তাড়ায় শেখ মেহেদী হাসানের প্রথম ওভারে দুটি চার মারেন ব্রায়ান বেনেট। অফ স্পিনারের পরের ওভারে দুই চারের সঙ্গে তিনি মারেন ইনিংসের প্রথম ছক্কা। তার ব্যাটে উড়ন্ত শুরু পায় জিম্বাবুয়ে।

দ্বিতীয় ওভারে ১ রান দেন সাকিব আল হাসান। ৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৭ রান। সব রান বেনেটের একার।
অবশ্য পঞ্চম ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সাকিব।

হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে মারার চেষ্টায় ব্যাটে লাগাতে পারেননি টাডিওয়ানাশে মারুমানি। উইকেটের পেছনে জাকের আলী শুরুতে ঠিকঠাক ধরতে পারেননি। তবে মারুমানি ক্রিজে ফেরার আগেই স্টাম্প ভাঙেন বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক। ৭ বলে ১ করেন মারুমানি।
উইকেট হারালেও সিকান্দার রাজাকে নিয়ে রান তুলতে থাকেন বেনেট।

১০ ওভারে দুজন মিলে রান তুলেন ৬২ রান। এরপর চলতি সফরে জিম্বাবুয়ের প্রথম ফিফটি করেন বেনেট। ১১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার প্রথম ফিফটিও এটি। ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন জিম্বাবুয়ের এই ওপেনার। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আরও দ্রুত রান তুলতে থাকেন তিনি। তবে মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটি ভেঙে ব্রেক থ্রু দেন সাইফ উদ্দিন।
এরপর জনাথান ক্যাম্ববেলকে নিয়ে রান তুলতে থাকেন রাজা। মুস্তাফিজকে পুল করে বাউন্ডারি মেরে ৪১ বলে পঞ্চাশ পূরণ করেন রাজা। শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য সফরকারী প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। সেই ওভারে সাইফউদ্দিনকে ৬ ও ৪ মেরে ব্যবধান কমিয়ে আনেন রাজা। পরে ৯ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে যায় জিম্বাবুয়ে। ৪৬ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন রাজা।

সাকিব ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট।নেন। সাইফউদ্দন দেন ৫৫ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ ডেলিভারি পুল করার চেষ্টায় টাইমিং পাননি তানজিদ হাসান। শর্ট কভারে সহজ ক্যাচ নেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৫ বলে ২ রান করে ফেরেন তানজিদ হাসান। পরের ওভারে ফেরেন সৌম্য সরকার। ৭ বলে ৭ রান করেন এই বাঁহাতি ওপেনার।

সুবিধা করতে পারেননি তিনে নামা তাওহিদ হৃদয়ও। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বেনেটের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি কাট করার চেষ্টায় ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড হন। এতে ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলকে টানেন মাহমুদ-নাজমুল। যদিও দলীয় শতরান পূর্ণ হওয়ার আগে সাজঘরে ফেরেন নাজমুল। মাসাকাদজার বল লং অন দিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে পরের বলেই ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো রায়ান বার্লের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৬ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

নাজমুলের বিদায়ের পর ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদ। তবে অন্যপ্রান্তে লুক জঙ্গিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৬ বলে ২১ রান করে আউট হন সাকিব আল হাসান। খানিক পর মাহমুদও ফেরেন ৫৪ রান করে। যেখানে ৬টি চার ও ১টি ছয় মারেন তিনি। শেষ দিকে জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের তাণ্ডবে ১৫৭ রান তোলে বাংলাদেশ দল।

Share this post

PinIt
scroll to top