দেশের তথ্য ডেস্ক।।
ভারতের দিল্লি থেকে ১৫ টন ভেজাল মসলা ও কাঁচামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় গত রবিবার (৫ মে) দিল্লির করাওয়াল নগরে ভারতীয় মসলা উৎপাদনের এই ঘটনার কথা জানিয়েছে পুলিশ। দিল্লিতে এ মসলা বেশ চলে এবং দেখতে আসল মসলার মতোই। ফলে আলাদা করার কোনো উপায় নেই।
অভিযুক্তরা এই ভেজাল মসলা একই দামে দিল্লি/ এনসিআরের স্থানীয় বাজার এবং বিক্রেতাদের কাছে ‘খাঁটি মসলা’ বলে সরবরাহ করছিল।
ভারতের পত্রিকা হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ভেজাল মসলা মূলত তৈরি করা হচ্ছে পচা রুটি, পচা চাল, কাঠের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও অ্যাসিডসহ বিভিন্ন উপাদান ব্যবহার করে। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক ব্যবসায়ী এই নকল মসলা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আড়ালে এগুলো বাজারে চালানো হচ্ছে।
নকল ভারতীয় মসলার দুই প্রস্তুতকারক ও একজন বিক্রেতাসহ মোট ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া মসলা তৈরির বহু সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে। মোট ১৫ টন ভেজাল ভারতীয় মসলা ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। দিল্লি পুলিশ ও ডিপার্টমেন্ট অব ফুড অ্যান্ড সেফটির পক্ষ থেকে বারবার এ নিয়ে অভিযান করা হয়েছে।
এসব নকল মসলার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের জেরা করে জানা যায়, ২০২১ সাল থেকে তারা নকল মসলার ব্যবসা করছে।
এ ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন ভারতীয় মসলা প্রস্তুতকারীর বিরুদ্ধে দেশের বাইরেও ভেজাল মসলা রপ্তানির অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার মার্কিন কাস্টমস সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির কারণে ‘এমডিএইচ’ মসলার চালানের ৩১ শতাংশ নিষিদ্ধ করেছে। এ ছাড়া হংকং ও সিঙ্গাপুরে ভারতের এমডিএইচ এবং এভারেস্টের মসলা নিষিদ্ধ করেছে।
এমডিএইচ এবং এভারেস্ট মসলা ভারতে সবচেয়ে জনপ্রিয়। যা ইউরোপ, এশিয়া এবং উত্তর আমেরিকাতেও বিক্রি হয়।
সিঙ্গাপুর এভারেস্টের একাধিক মসলায় উচ্চ মাত্রার ‘কারসিনোজেনিক পেস্টিসাইড ইথিলিন অক্সাইড’ পাওয়া পেয়েছে। যা মানুষের খাওয়ার জন্য অনুপযুক্ত এবং দীর্ঘদিন খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকিও রয়েছে। হংকং এবং সিঙ্গাপুরের এই পদক্ষেপের পর ‘ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফএসএসএআই)’ দুটি সংস্থার পন্যের মান পরীক্ষা করা শুরু করেছে। তবে মসলা প্রস্তুতকারক এমডিএইচ বলেছে, তাদের পণ্যগুলো নিরাপদ। তারা মসলার বিষয়ে হংকং বা সিঙ্গাপুরের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পায়নি।