দেশের তথ্য ডেস্ক।।
সিরাজগঞ্জ শিল্পপার্কে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য পাইপ স্থাপন করার সময় মাটি ধসে পড়ায় মো. সোহাগ (৩০) নামে এক একজন শ্রমিকের শরীরের প্রায় অর্ধেক পাইপে ও অর্ধেক মাটির ভেতরে চাপা পড়ে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে জীবিত উদ্ধার করেন। এ সময় তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করার কারণে তিনি বেঁচে যান।
সোমবার (৬ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের মুলিবাড়ি দুখিয়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস।
মো. সোহাগ ভোলা জেলার চরফ্যাশনের শশীভূষণ এলাকার মো. সালামের ছেলে বলে জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা।
মো. সোহাগের এলাকার আরেক শ্রমিক কামরুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা একসঙ্গে পাইপের ভেতর দিয়ে ঢুকে মাটি কেটে কেটে পাইপ স্থাপনের কাজ করছিলাম। এ সময় পাইপের মধ্যে তিন-চারজন ছিলাম। তখন সোহাগের মাথা থেকে প্রায় পেট পর্যন্ত পাইপের ভিতরে ছিল। তখন হঠাৎ উপর থেকে মাটি ধসে পড়ে। তখন তার পেট থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে চাপা পড়ে। পরে তাকে উদ্ধারের জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে অক্সিজেন সেট করে দেই এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তবে সে পাইপের ভেতরে সুস্থ ছিল। উদ্ধার অভিযান চলাকালেও আমি নিজে পাইপের ভিতর দিয়ে কয়েকবার গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলে এসেছি।
সিরাজগঞ্জ ফায়ারসার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. আতাউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ৪টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এসেই পাইপে আটকা পড়া শ্রমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করি ও অক্সিজেন সরবরাহ করি। এরপর এক্সক্লেভেটর দিয়ে মাটি কেটে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, তার শরীরের ৩০ ভাগ পাইপের ভেতরে আটকা ছিল ও বাকি ৭০ ভাগ মাটিচাপা পড়েছিল। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রোকনুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই শ্রমিককে এখানে আনা হলে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার বড় কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। তিনি সুস্থ ও শংকামুক্ত আছেন।