দেশের তথ্য ডেস্ক।। আগাম পূর্বাভাস পেলেও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অনেকটাই ব্যর্থ বাংলাদেশ। তার ওপর নগরায়ণের নামে অপরিকল্পিত ঢাকা। এই দুয়ের মাশুল দিতে গিয়ে এখন নাভিঃশ্বাস নগরজীবনে। দাবদাহের বাড়ছে ব্যাপ্তি। এদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীও বলছেন সর্বনাশ থেকে উদ্ধার পেতে সময় লাগবে আরও।দহনকালে পুড়ছে দেশ। প্রতিদিনই যেন রেকর্ড গড়ছে তাপমাত্রা। দিনে-রাতে এক অস্বস্তির সময় পার করছে দেশবাসী। তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা বর্ষণের। আর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে ২ মে থেকে টানা পাঁচদিন থাকতে পারে বৃষ্টি। মিলতে পারে ক্ষণিকের স্বস্তিও।মূলত বর্জ্রবৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ায় দীর্ঘ হচ্ছে দাবদাহ। বললেন আবহাওয়াবিদ ড. আব্দুল কালাম মল্লিক
মূলত বর্জ্রবৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ায় এই অঞ্চলে দীর্ঘ হচ্ছে দাবদাহ। স্বাভাবিক সময় এপ্রিলে গড়ে ৯টি বর্জ্রঝড় হওয়ার কথা ছির। এর আগে ১৯৯৭ সালে হয়েছিল ১৪টি। ২০০৪ সালে ১২টি, ২১ সালে ৮টি গত বছর ৭টি বর্জ্রঝড় রেকর্ড হয়েছে। সেখানে চলতি বছর এপ্রিলে হয়েছে মাত্র ৪টি। যার একটি মাত্র ছিল বড় পরিসরে। তাই হাসফাসের এমন হিসেবটা মিলে যাচ্ছে শতভাগ।
ক্রমাগতভাবে ২০১৮ সালের পর বর্জ্রঝড় কমে যাওয়ার কারণে, বাংলাদেশ এবং তার পাশের দেশে তাপপ্রবাহ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
বর্তমানে দেশব্যাপী যে তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে, সেটা তো কোনো মৌসুমী বিষয় নয়। এটা এখন মনে হচ্ছে যে, সারা বছরই থাকবে। যেখানে তাপমাত্রাটা কম থাকার কথা, সেখানে বেশি থাকছে। বিষয়টি এখন জাতীয় পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। কাজ করতে হবে। সময় লাগবে।