দেশের তথ্য ডেস্ক।। (শেখ শামীমুল ইসলাম, দিঘলিয়া খুলনা প্রতিনিধি):- গ্রাম পর্যায়ে খেলাধুলার মান উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে প্রতি উপজেলায় একটি করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটী ইউনিয়নের হাজীগ্রাম আতাই নগর আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত করে ৩ একর জায়গার উপর নির্মিত হচ্ছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম।
৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মারজান গ্লোবাল নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মারজান গ্লোবালের স্বত্বাধিকারী সাবেক জাতীয় দলের কৃতি ফুটবলার শেখ আসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, গ্রাম পর্যায়ে খেলাধুলার মান উন্নয়ন এবং প্রসারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সারা দেশে প্রতিটি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ নিঃসন্দেহে একটি মহতী উদ্যোগ। যেহেতু এটি প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্প আমরা শুরু থেকে কাজের যথাযথ গুণগত মান বজায় রেখে এবং ডিজাইন অনুযায়ী দিঘলিয়ায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ করছি। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বাকী ৩০ শতাংশ কাজ খুব দ্রুততার সঙ্গে শেষ হবে ইনশাআল্লাহ। উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের ফলে উৎফুল্ল এলাকার মানুষ। আন্তর্জাতিক কৃতি অ্যাথলেটিক ও দিঘলিয়ার কৃতি সন্তান মোঃ মিলজার হোসেন বলেন, সারাদেশে গ্রাম পর্যায়ে খেলাধুলার মান উন্নয়ন এবং প্রসারে উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকারের একটি ভালো উদ্যোগ। তিনি বলেন, এলাকায় মাঠ থাকলেও সেখানে খেলাধুলার ভালো কোন পরিবেশ নেই। ফলে দিঘলিয়ায় স্টেডিয়ামটি নির্মিত হলে এলাকার ক্রীড়ামোদীরা তাদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পাবে। খেলাধুলার মান উন্নয়ন হবে। প্রসঙ্গত, শিশু কিশোর ও তরুণদের খেলাধুলার কথা বিবেচনা করে সরকার সারা দেশে ৪৯০ টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে।
ইতিমধ্যে ১২৫ টি’র নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৮৬ টি ‘র নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের (২য় পর্যায়ে) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের হাজীগ্রাম আতাই নগর আশ্রায়ণ প্রকল্প সংলগ্ন ৩ একর জায়গার উপর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামটি নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পটির নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ধীন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বাস্তবায়নে স্টেডিয়ামটি নির্মিত হচ্ছে। ২০২২ সালের ১২ জুন “মারজান গ্লোবাল” নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্টেডিয়ামটি নির্মাণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। ২০২৩ সালেরব ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ হাসান রাসেল স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম প্রকল্পের পিডিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। কার্যাদেশ অনুযায়ী ৯ মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ এখনও শেষ হয়নি।