চট্টগ্রাম নগরীতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় মামলা ।

hamla-ctg.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :-  পুলিশ ৪৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। অন্য মামলাটি করেন আওয়ামী গীগের কর্মী আরিফুল ইসলাম। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীতে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় তিন শতাধিক আসামি করে দুইটি মামলা করা হয়েছে।

পুলিশ ৪৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। অন্য মামলাটি করেন আওয়ামী লীগের কর্মী আরিফুল ইসলাম। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার পর বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগরী কার্যালয়েও হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলার চেষ্টা করলেও পুলিশ তা নেয়নি বলে অভিযোগ ওঠে, তবে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার আলাদা দুটি মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা।

তিনি বলেন, ‘লালখান বাজার এলাকায় নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। আওয়ামী লীগ কর্মী আরিফুল ইসলামের করা মামলায় কারও নাম উল্লেখ না করে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তা ছাড়া পুলিশের কাজে বাধা ও হামলা করায় উপপরিদর্শক (এসআই) শাহেদ বাদী হয়ে পুলিশের পক্ষ থেকেও ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন।’

ওসি জানান, আসামিদের ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলবে।

মহানগর বিএনপির দপ্তর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বিএনপির দলীয় কার্যালয় নসিমন ভবনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয়ে নগরীর কোতয়ালী থানায় বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন আইনজীবী বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতোয়ালি থানায় যান।’

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা করা হয়নি।’

চট্টগ্রাম নগরীতে গত বুধবার কেন্দ্রঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। পদযাত্রা শেষে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ফেরার পথে নগরীর লালখান বাজার চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা হয়। ওই সময় প্রচারের গাড়িসহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এতে আওয়ামী লীগের ১৯ জন আহত হন।

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে করেন। এর মধ্যেই নগরীর কোতোয়ালি থানার নুর আহমদ সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন ভাঙচুর করা হয়।

Share this post

PinIt
scroll to top