সময় এখন মাথা ঠান্ডা রাখার, নেতানিয়াহুকে বললেন সুনাক

rishi-sunak-and-netanyahu-1-20240417111007.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক।। কয়েক দিন আগেই ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চালানো এই হামলার পর ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে। ইরানের হামলার জবাব দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনাপ্রধান।

এমন অবস্থায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে মাথা ঠান্ডা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সপ্তাহান্তে ইরানের হামলার পর ‘মাথা ঠান্ডা রেখে জয় করতে’ মঙ্গলবার বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

এএফপি বলছে, মঙ্গলবার বিকেলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ফোন কলে প্রধানমন্ত্রী সুনাক নেতানিয়াহুকে চলমান পরিস্থিতিতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সতর্ক করেন।

ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘তিনি (সুনাক) জোর দিয়ে বলেছেন, উত্তেজনার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি কারও স্বার্থে ভালো কিছু নয় এবং এটি মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তাহীনতাকে আরও গভীরে নিয়ে যাবে। জয়ের জন্য মাথা ঠান্ডা রাখার সময় এখন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, সুনাক ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাজ্যের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন’। প্রধানমন্ত্রী সুনাক (নেতানিয়াহুকে) বলেছেন- ইরান গুরুতরভাবে ভুল হিসেব-নিকেশ করেছে এবং বিশ্ব মঞ্চে এই দেশটি ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এছাড়া ইরানের হামলার জেরে বিশ্বমঞ্চে জি-৭ কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ায় সমন্বয় করছে বলেও জানিয়েছে সুনাকের কার্যালয়।

এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এবং সেখানে আপাতভাবে যুদ্ধবিরতির কোনও সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনকলের রিডআউটে বলা হয়েছে, সুনাক কলে বলেছেন- তিনি গাজায় ‘গুরুতর মানবিক সংকট নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।

এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল যত দ্রুত সম্ভব নতুন ত্রাণ রুট উন্মুক্ত করার পাশাপাশি অত্যাবশ্যকীয় সহায়তা সরবরাহ করাসহ গাজায় ত্রাণ প্রবেশের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ব্যাপক পদক্ষেপ ও জোরালো পরিবর্তন দেখতে চায়।’

‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- সপ্তাহান্তে হামাস একটি চুক্তি আটকে দিয়েছে এবং এটি গভীরভাবে হতাশাজনক। এই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের জীবন বাঁচাতে এবং বন্দিদের নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করতে পারত’।

 

 

Share this post

PinIt
scroll to top