নওগাঁ প্রতিনিধি।। নওগাঁর মান্দায় ৭নং প্রসাদপুর ইউনিয়ন মটগাড়ী গ্রামে মরা গরু জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে এ বিষয়ে মান্দা থানা পুলিশকে জাগিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন, সরকারী তথ্য ওসম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের রাজধানী টেলিভিশন ও জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনা পএিকা ক্রাইম রিপোটার নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আমজাদ হোসেন। তিনি মান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক। ১৪ এপ্রিল রবিবার রাত ৮:৩০ ঘটিকায় মটগাড়ী সরদার পাড়ার আবুবক্কারের ছেলে, আব্দুল বারী গরুর খামারে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষমতাধর ব্যক্তি হওয়ায় সাংবাদিক হামলার পর থেকেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাতেও দেখা গেছে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে বলে জানা যায় । রবিবার রাত ৮:৩০ ঘটিকায় আব্দুল বারী খামারে ২ টি গরু মারা যায় খুব কৌশল করে একটি গরু জবাই করে, আরেকটি গরু মাটির নিচে পুতে ফেলেছে বলে যানা যায়। ঐদিনের ঘটনার আগেও ৮ থেকে ১০ টি অসুস্থ ও মরা গরু তিনি জবাই করে,১৪ নং বিষ্ণুপুর ইউপির শিবনগর গ্রামের আলম নামে এক কসাই এর কাছে বিক্রি করেছে বলে জানা যায় । গুপন সংবাদের প্রেক্ষিতে সংবাদের সত্যতা যাচাই এর জন্য মান্দা থানা পুলিশকে অবহিত করিয়া রাত্রী ০৮.৪৫ ঘটিকার সময় বিবাদীদের খামারে যাই। সেখানে গিয়া কিভাবে গরু অসুস্থ হলো এবং গরু জবাই করেছে কিনা এবং কার কাছে বিক্রি করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনা বিভিন্ন হাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাষা প্রয়োগ করতে থাকে । তারপর এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছিলা ফোলা জখম করে। এক পর্যায়ে বিবাদীগণ আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়া ভেঙ্গে ফেলার উদ্দেশ্যে মাটিতে আঘাত করে এবং মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে যায়, গরুর খামারি বারী তাঁর গুন্ডাবাহিনী দিয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলা করেন তারা। এ সময় বুকের বাম পার্শে আঘাত করলে আগে থেকে ভাঙ্গা অংশ গুরুতর আঘাত পেয়ে, মান্দা থানার পুলিশি হেফাজতে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন । তবে এ বিষয়ে হামলার শিকার হওয়া সাংবাদিক আমজাদ হোসেন বলেন, রাত সাড়ে আটটার দিকে দুইটা ফোন আসে আমার কাছে, মটগাড়ী গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে, আব্দুল বারীর খামারে মরা গরু জবাই করে বিক্রি করা হচ্ছে, এই সংবাদে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ওই ঘটনা লাঞ্ছিত শিকার হয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী কসাই আলমের সঙ্গে কথা হলে তিনি মরা গরু এবং অসুস্থ গরু ক্রয় করেছেন স্বীকার করে বলেন বলেন,আমি অসুস্থ গরু কিনে রাজশাহী সহ বিভিন্ন হোটেলে বিক্রি করি, ওরা কোনদিন মরা গরু অসুস্থ গরু ফেলে দিবে, আর কোথাও দেখেছেন কেউ মরা গরু অসুস্থ গরু কোথাও ফেলে রেখেছে এ সকল গুরু আমি কিনি এবং বিক্রি করি। এই বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ‘সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং ঐদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম ঘটনা সত্যতা আছে আরো নিবিড় ভাবে ঘটনা সত্যতা যাচাই করে অভিযুক্তদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে