সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রত্যাশিত বড় ব্যবধানে জয়ে নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। প্রতিপক্ষ প্রার্থীর তুলনায় তিনি ৬৮ হাজার ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বুধবার সারা দিন ভোটগ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ১৯০ কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের নগরীর উপশহরের জালালাবাদ গ্যাস মিলনায়তনে নির্বাচনের ফল প্রকাশ করেন।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, নৌকা প্রতীকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ভোট পেয়েছেন এক লাখ ১৮ হাজার ৬১৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবারই প্রথম দেশে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী ছিলেন।
অন্যদিকে পেশায় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাবুল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি গত নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। মেয়র পদে তিনিও প্রথম নির্বাচন করেন। সিলেটে এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট আটজন।
তারা হলেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া, আব্দুল হানিফ কুটু, মোশতাক আহমদ রউফ মোস্তফা, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ছালাহ উদ্দিন রিমন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মাহমুদুর রহমান। যদিও গত ১২ জুন নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান। তার সড়ে দাঁড়ানোতে এবার আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আগে থেকে ধারণা করা হচ্ছিল।
আজ বুধবার (১২ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টানা ভোটগ্রহণ। ভোট নেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)।
নির্বাচন নিয়ে তৎপর ছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন অফিসে বসে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করা হয়।
সিসিক এই নির্বাচনে ১৯০টি কেন্দ্রের সবকটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। ৪২টি ওয়ার্ডের সমন্বয়ে গঠিত এই সিটিতে মোট ভোটার চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন, নারী ভোটার দুই লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ছয়জন হিজড়া ভোটার।