দেশের তথ্য ডেস্ক।। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ পার্শ্ববর্তী একটি দেশের সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংক লুট, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
শনিবার(৬ এপ্রিল) চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেএনএফ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আশেপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে, পাশ্ববর্তী দেশে যারা ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের অস্ত্রশস্ত্র এদের কাছে এসেছে বলে জানা গেছে।’
‘দেখুন, তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে, ইতোমধ্যে ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্ত করা হয়েছে। তাদেরকে নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর,’ বলেন তিনি।
বিএনপির রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক জিয়াই যথেষ্ট, আর কাউকে লাগবে না। যতদিন তারেক জিয়া তাদের নেতা থাকবে বিএনপির ততদিন কোনো সম্ভাবনা নাই। প্রকৃতপক্ষে বাজার অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু তাদের এই ডাকে দেশের কেউ সাড়া দেয়নি, এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেয়নি। বাজার আমরা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। অনেক পণ্যের দামও কমেছে।’
শনিবার সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের ঈদের আগে কাছে পেতে স্বজনরা আকুল আবেদন জানিয়েছেন, নাবিক ও জাহাজের মুক্তির বিষয়ে আলোচনা কতটুকু এগিয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমুখী প্রচেষ্টা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোন অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেকদুর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘সেই জাহাজের আশেপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামুখি চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব। দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে, এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকরি করে ঈদের আগে-পরে হিসেব করে তাদের কোনো ছুটি হয় না। তারা যায় ছয়মাস কিংবা একবছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সাথে মিলিত হবার কথা ছিল না।’
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং মজুদদার বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। ঈদকে সামনে রেখেও সবসময় বাংলাদেশে অসাধু সিন্ডিকেট চক্র সক্রিয় হয়। সেটিকেও কঠোরহস্তে দমন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
‘এইক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও বিরাট ভুমিকা রয়েছে। আমি গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানাব, রমজানের সময় যে বাজার মোটামুটিভাবে স্থিতিশীল আছে এবং কিছু কিছু পণ্যের দামও যে কমেছে, সেটিও প্রচার করা দরকার। কোনো পণ্যের দাম বাড়লে গণমাধ্যমে সেটি যেমন প্রচারিত হয়, কোনো পণ্যের দাম কমলে সেটিও প্রচার করা দরকার,’ বলেন তিনি।