দেশের তথ্য ডেস্ক ।। আসন্ন ঈদুল ফিতরের পরেই শুরু হচ্ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ফলে ঈদ কেন্দ্র করে এবার দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটারের কাছেও ছুটছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে টানিয়েছেন পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনেও ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মন জয় করার চেষ্টা করছেন। প্রার্থী ও সমর্থকদের পদচারণায় ইতোমধ্যেই তৈরি হয়েছে ভিন্ন আমেজ।
এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম ঈদ হওয়ায় স্ব স্ব এলাকায় ছুটছেন স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীরাও। নির্বাচনি এলাকায় অবস্থানকালে তারাও গুরুত্ব দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাচনকে। দলের হাইকমান্ডের নিষেধ থাকলেও পছন্দের প্রার্থীদের নানাভাবে সামনে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তারাও। সব মিলিয়ে এবারের ঈদের আমেজ বাড়িয়ে দিয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।
আগামী মে থেকে দেশে শুরু হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে দুই ধাপের জন্য নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম ধাপে গ্রহণ হবে ৮ মে, আর ২১ মে দ্বিতীয় ধাপ। তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই মাঠে নেমেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগের মধ্যদিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। রমজানে সাধারণ ভোটারের কাছে ছুটেছেন অনেকে। চাল, ডাল, তৈলসহ নিত্যপণ্য বিতরণ করেছেন সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও নিম্নবিত্তের মানুষের মাঝে। অনেকে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ শুরু করেছেন। দিচ্ছেন নানা উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় সক্রিয় রয়েছন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। গত কয়েকদিন ধরে ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে শাড়ি লুঙ্গি বিতরণ করছেন। আরেক প্রার্থী আজগর বিশ্বাস তারা বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সভা করছেন। গতকাল দুঃস্থদের মাঝে গবাদিপশু বিতরণ করেছেন তিনি।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে প্রার্থী না দিলেও দলটির সংসদ-সদস্য, মন্ত্রী ও স্থানীয় নেতারা নিজেদের নিকটাত্মীয় ও স্বজনদের প্রার্থী করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে অনেকের বিরুদ্ধে। এবার ঈদে তাদের সরব উপস্থিতিতে দলীয় রাজনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে বলেই মনে করছেন নেতাকর্মীরা।
যদিও বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড। ইতোমধ্যেই দলের বিভাগীয় বৈঠকগুলোতে এমপি-মন্ত্রীদের পক্ষপাতিত্ব না করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কেউ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করলে তাকে সাংগঠনিক শাস্তির আওতায় নিয়ে আশা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।