দেশের তথ্য ডেস্ক|| তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সন্ধায় খুলনায় নুরুল হক নূর সমর্থিত গণঅধিকার পরিষদের ২ গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে। এসময় হোটেল ভাঙচুরের অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, নূর সমর্থিত মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক ফরহাদ হাসান রাজ, মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি সাব্বির হোসেন শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন মুন্না ও কর্মী শরিফুল ইসলাম৷শুক্রবার সন্ধায় নগরীর শিববাড়ি মোড়ের জাফরান রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন, মহানগর যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ রুবেল, সুজন, রবিন, রুহুল আমিন সহ অর্ধডজন নেতাকর্মী।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের ভাষ্য, অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বুধবার নূরের খুলনায় আগমনের দিন মূলত ঘটনার সূত্রপাত৷ আজ সন্ধায় মিমাংসার জন্য উক্ত রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হলে ক্ষিপ্ত হয়ে যুব অধিকার পরিষদ খুলনা মহানগরের সভাপতি তাজুল ইসলামকে আক্রমন করে ফরহাদ হাসান রাজ, সাব্বির, শরিফুল সহ তাদের অনুসারীরা।
এসময় আক্রমনের নির্দেশ দিয়ে মহানগর গণঅধিকারের পরিষদের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক বেল্লাল হোসেন পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নেতাকর্মীরা।ঘটনাস্থলে জানা যায়, সংঘর্ষের এক পর্যায়ে হোটেল ভাঙচুর করেছে মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বেলাল হোসেন অনুসারী হিসাবে খ্যাত রাজ, সাব্বির, শরিফুল, মুন্না।
জানা গেছে, আটককৃতদের মধ্যে আলমগীর হোসেন মুন্নাকে নারী সাপ্লাইয়ের অভিযোগে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিঃষ্কার করা হয়েছিল। পরে আবার তাকে নূর পন্থী মহানগর ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আরেক আটকৃত নূর পন্থী নেতা মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হাসান রাজকে নারীদের উষ্কানির অভিযোগে কয়েকমাস আগে মারধর করে নেতাকর্মীরা এবং তাকে সংগঠন থেকেও শোকজ করা হয়। আটককৃতদের ব্যাপারে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে নিজ দলের নেতাকর্মীদের।