রামপাল বাগেরহাট প্রতিনিধি।। রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র অভ্যন্তরে সংঘবদ্ধ একদল ডাকাতের হামলায় নিরাপত্তা কর্মীসহ ৫ জন ও ডাকাত দলের ২ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনা স্থানীয় পর্যায়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে । এর আগে চুরির ঘটনা ঘটলেও ডাকাতির সংঘবদ্ধ চেষ্টা এবারই প্রথম । হামলায় আহতদের মধ্যে ৩ জনকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, গুরুতর ২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়াও ডাকাত দলের সদস্য আসাবুলকে চালনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যপারে রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার মঙ্গলা হারিন্দ্রান সাংবাদিকদের জানান, বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টায় পশুর নদী দিয়ে একটি নৌকা যোগে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি ডাকাত দল সীমানার তারকাঁটার বেড়া কেটে ভিতরে ঢুকে মালামাল লুটের চেষ্টা করে। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনরার সদস্য ও নিরাপত্তা কর্মিরা তাদের বাঁধা দিলে তারা তাদের উপর চড়াও হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপতাড়ী ভাবে হামলা করে। এতে আনসার সদস্য আকরাম হোসেন (৫২), হাবিলদার কামাল পাশা (৫৪), নিরাপত্তা কর্মি ব্রজেন মন্ডল (৪৫), শহিদুল শেখ (৩৬) ও মিন্টু বৈরাগী (৪৫) গুরুতর জখম হয়।
ওই রাতে তাদেরকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে মিন্টু বৈরাগী ও কামাল পাশাকে বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় আনসার সদস্যদের ছোড়া গুলিতে ডাকাত দলের সদস্য আসাবুল (৪০) নামের এক ব্যক্তি আহত হয়। তার বাড়ী রামপাল উপজেলা কৈগর্দাসকাঠি এলাকায়।
এ ঘটনার পর খবর পেয়ে রাতে র্যাব খুলনা-৬ ও রামপাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ( প্রশাসন) নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি ডাকাত দল নদী পথে এসে নিরাপত্তা ভেদ করে মালামাল লুটের চেষ্টা করে। এসময় বাধা দেয়ায় তারা আমাদের আনসার ও নিরাত্তা কর্মিদের উপর হামলা করায় ৫ জন আহত হয়েছে। আমরা দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদারের চেষ্টা করছি।
জানাযায়, এর আগে বেশ কয়েকবার চুরি হলেও এবার ৫০ থেকে ৬০ জন ডাকাত ঢোকার বিষয় নিয়ে সন্দেহ জেগেছে। এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুই ইউনিটই চালু রয়েছে। এ অবস্থায় তারা ডাকাতি করতে এসেছিল নাকি নাশকতা ঘটাতে এসেছিল তা নিয়ে সর্বমহলে তদন্তের দাবী উঠেছে।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি সুত্র বলছে আনসার দলের ছোঁড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ ডাকাত দলের সদস্য আসাবুল পালিয়ে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার চালনা হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা নেয়ার সময় পুলিশ তাকে আটক করেছে। এছাড়া ১১ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে বলে রামপাল থানা সুত্রে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ জানান, ওই ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে ।