দেশের তথ্য ডেস্ক গাজীপুর প্রতিনিধি :- ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিলো বসুন্ধরা শুভসংঘের গাজীপুর জেলা শাখা। মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই। কেননা, এর কোনো ভ্যাকসিন নেই। সুনির্দিষ্টভাবে কার্যকর ওষুধও নেই।
তবে মশার প্রজননের অনুকূল পরিবেশ আমাদের চারপাশে আছে। ডেঙ্গু কী, কেন হয় ও কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়- তা সকলের সামনে তুলে ধরতে এই ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়।
জেলা শাখার সভাপতি মুসাফির ইমরানের সভাপতিত্বে বুধবর (১৯ জুলাই) শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত জয়দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ডেঙ্গু সতর্কতা ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে শুভসংঘের গাজীপুর জেলা শাখা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক বদরুন নেছা।
তিনি বলেন, শুভসংঘের কার্যক্রম সম্পর্কে আমি অনেক আগে থেকেই অবগত। তারা সমাজের নানান ভালো কাজে অংশগ্রহণ করে। যা আমাদের দেশের জন্য অনেক প্রয়োজন। আমাদের স্কুলে ক্যাম্পেইন করার জন্য শুভসংঘকে ধন্যবাদ।
তাদের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীরা সচেতনতার বার্তা পেলো। অসচেতনতার অভাবে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। এ রোগ প্রতিরোধ করতে হলে সবার আগে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
জেলা সভাপতি মুসাফির ইমরান বলেন, ডেঙ্গু মৌসুম চলতে থাকার কারণে, বর্তমান সময়ে যে কারো শরীরে অস্বাভাবিক কোনো উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে তার একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো উচিত। সাধারণত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শরীর ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের আরো বেশি সচেতন হওয়া জরুরি। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে বাসায় থেকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
সহ-অর্থসম্পাদক আলভী হাসান বলেন, দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় মশারি টানিয়ে ঘুমানো উচিত। নিজে ও পরিবার সচেতন থাকলেই ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। তাই আমাদের পরিচিত সবার মাঝে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে সবার আগে।
শুভসংঘের সদস্য মায়মুনা মীম বলেন, বেশিরভাগ আক্রান্তের ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর খুব সামান্য কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উপসর্গই দেখা যায় না। আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। আক্রান্ত হলে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার দরকারও হয়। তাই সবার আগে আমরা সবাই সচেতন হই।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জয়দেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কুহিনূর আক্তার কাবেরী, জোবাইদা আক্তার, আঞ্জুমান আরা লাইজু, নুরজাহান বেগম, আজিজুন নাহার, নাসরিন আক্তার, মনোয়ারা বেগম, শাম্মী আক্তার, পার্বতী মল্লিক, বিচিত্রা সরকার, মমতাজ পারভিন, আনোয়ারা বেগম, শ্রাবণী রানী দাস, হাসনা আক্তার, সামসুন নাহার ও জেলা শাখার শুভসংঘের বন্ধু কানিজ ফাতেমা কলি, হারুণ অর রশিদ, হৃদয় হাসান, সানজিদা ওমরা, অমিত হাসান প্রমুখ।