ছিনতাই আর ধর্ষণই তার নেশা ! -আসল না নকল পুলিশ দেখে বুঝার উপায় নেই

33.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক –

মোটরসাইকেল ছেড়ে এখন প্রাইভেটকারে চড়েন তিনি। তবে পেশা আগেরটাই। পুলিশের ছদ্মবেশে নারীদের টার্গেট করে ছিনতাই এবং সুযোগ বুঝে ধর্ষণ। রাজধানীর নামিদামি হোটেলে তার নামে মাসের পর মাস বুকিং দেয়া থাকে রুম। তিনি ১২টি মামলার আসামি শাকিল ওরফে রোবেল। দেড় হাজারেরও বেশি ছিনতাইয়ে জড়িত শাকিলকে আবারও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ পরিচয়ে চলাফেরা করেন শাকিল। পরেন পুলিশের পোশাক। মাথায় ক্যাপ, কোমরে পিস্তল বহনকারী শাকিলকে খালি চোখে দেখে চেনার উপায় নেই যে, নকল পুলিশ।

কেরানীগঞ্জে নিয়মিত চেকপোস্ট চলাকালীন সময়ে পুলিশ সদস্যদের নজরে আসে একটি প্রাইভেটকার। পুলিশের স্টিকার সম্বলিত গাড়িটির পেছনের সিটে তারা একজন সাব-ইন্সপেক্টরকে দেখতে পান। গাড়ি থামিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। পুলিশের কোন্ ইউনিটে কাজ করেন, বিপি নম্বর কত ইত্যাদি জানতে চাইলে মেলে না সদুত্তর। একপর্যায়ে স্বীকার করেন তিনি আসলে নকল পুলিশ।

গ্রেফতারের পর তার পিসিপিআর যাচাই করে দেখতে পায় মামলা আছে ১২টি। গত বছরের ডিসেম্বরে জামিনে বের হয়েছেন। সবশেষ গ্রেফতার হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রথমে অপহরণ এবং পরে ছিনতাইয়ের ঘটনায়। সে ঘটনায় তখন বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিলো। দেড় হাজারের বেশি ছিনতাই এবং অসংখ্য নারীকে ধর্ষণের তথ্য পেয়েছিলো পুলিশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রথমে অপহরণ এবং পরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন শাকিল।কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির জানান, তার মূল টার্গেট নারী। শুধু ছিনতাই নয়, সুযোগ পেলেই ধর্ষণ করেন তিনি।

শাকিলের পাতা ফাঁদ সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রথমে কোন নারীকে টার্গেট করে তাকে বলে ‘আপনাকে চেক করতে গেলে নারী পুলিশ লাগবে। আমার সাথে নারী পুলিশ নেই। সামনে আমাদের নারী পুলিশ আছে। আপনি গাড়িতে উঠেন।’ এরপর ওই নারী গাড়িতে উঠলে তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে তার সাথে থাকা সব অর্থ-স্বর্ণ লুট করে তাকে ছেড়ে চলে আসে।

রাজধানীর দুটি হোটেলে মাসের পর মাস রুম বুকিং করে রাখার পাশাপাশি কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এবং যাত্রাবাড়ীতে আলিশান বাড়িও তৈরি করেছেন শাকিল ওরফে রোবেল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাব উদ্দিন কবির আরও জানান, নারীদের তার পাতা ফাঁদে ফেলতে পারলে ওই দুই বাড়ির যে কোন এক বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় সে।

ঈদ সামনে রেখে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছিল শাকিল — এমন তথ্যও পেয়েছে পুলিশ।

Share this post

PinIt
scroll to top